রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির টেস্ট অবসরের পরই একটা প্রশ্ন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্বের ব্যাটন কার হাতে তুলে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে অশ্বিন, বিরাট, রোহিতদের না থাকা যে ইংল্যান্ডে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা অভিজ্ঞতার অভাব টের পাওয়াবে, তার অনুমান আগেই পাওয়া গেছিল। যদিও একপ্রকার আইপিএলে ক্যাপ্টেন্সি দেখেই শুভমন গিলকে টেস্ট ফরম্যাটের নেতৃত্বের দায়ভার তুলে দেওয়া হয়। এবার ইংল্যান্ডে টেস্ট অধিনায়কত্ব যে সহজ হবে না, সেটাও জানা কথাই ছিল। তবে প্রথম ম্যাচেই যেভাবে টিম ইন্ডিয়া ব্যর্থ হয়েছে, তারপর অনেক প্রশ্নই উঠে গেছে।
অধিনায়ক হওয়ার পর ব্যাটার হিসেবে গিলের যা করণীয়, তাই করে দেখিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে সেনা দেশের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম টেস্ট শতরান পেয়েছেন গিল। অর্থাৎ ব্যাট হাতে তাঁর শুরুটা ভালোই ছিল। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই তিনি যেন খেই হারিয়ে ফেলেছেন। যখন ব্যাটারদের অ্যাটাকিং ফিল্ড সেট করে চাপে রাখার কথা ছিল, তখন তিনি সেটা করেননি। আগেই বুমরাহকে দিয়ে এত ওভার বোলিং করে নিয়েছিলেন যে পরে আর তাঁকে বোলিংও দিতে পারেননি। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৭১ রানের টার্গেটও সহজেই তুলে নিয়েছে ইংরেজরা।
ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুলরা যথেষ্ট পরিমাণেই সাহায্য করেছেন গিলকে অধিনায়কত্ব করতে। কিন্তু টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টা এতটাই কঠিন যে গিল যেন কেমন একটা পুরো বিষয়টাই ঘেঁটে ফেলেছেন। তা দেখেই ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসির হুসেন বলছেন, ‘হেডিংলে টেস্টে ভারতের ৩-৪জন অধিনায়ক ছিল, কিন্তু কেউই তেমন উচ্চমানের ছিল না ’।
লোকেশ রাহুল একটা সময় কার্যত নেতৃত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন। এরপর দলের মধ্যে একটা শক্তির সঞ্চার ঘটান তিনি। সেই সময় শার্দুল ঠাকুরও এক ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে দলকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আবার টিম ইন্ডিয়া যে কে সেই অবস্থায় পৌঁছে যায়। যা দেখেই বিরাট, রোহিতদের মিস করছেন ইংরেজ তারকা।
নাসির হুসেন বলছেন, ‘বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মার মধ্যে যে ব্যাপারটা ছিল, সেই ব্যাপারটা ঠিক শুভমন গিলের মধ্যে নেই। ও শুধুই বলে নজর রাখছিল, যতটা অতিস্বক্রিয় ওর হওয়া উচিত ছিল, ততটা ও হতে পারেনি। রোহিত বা বিরাট যখন অধিনায়ক ছিল, তখন তুমি মাঠে তাকালেই বুঝতে পারতে যে কে অধিনায়ক। কিন্তু এই ম্যাচে আমি ২-৩জন ক্যাপ্টেন, বা দলগত ক্যাপ্টেন্সি দেখলাম ’।