সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসেও মারকাটারি ব্যাটিং ঋষভ পন্তের। গতকাল অজি পেসারদের বলের আঘাতে শরীরে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল তাঁর। এদিন যেন সেই ঘটনার বদলা নিতেই মাঠে এসেছিলেন ঋষভ। প্রথম বলেই স্কট বোল্যান্ডকে ছক্কা হাঁকান তিনি। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত দুরন্ত ব্যাটিং করে যান তিনি। নিজের চেনা ছন্দে দেখা যায় তাঁকে। এদিন শেষপর্যন্ত ৩৩ বলে ৬১ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে আউট হন তিনি। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে পোস্টের বন্যা বয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ ট্রেন্ডও শুরু হয়েছে। এর আগে মেলবোর্নে টেস্টে কমেন্ট্রি করার সময় ঋষভের ঝুঁকিপূর্ণ শট নির্বাচনকে ‘স্টুপিড’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
গাভাসকরকে কটাক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টের?
আর সিডনির ইনিংসের পরে তাতে ঘি ঢেলেছে পন্তের নতুন IPL ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ সুপার জায়ান্ট। এ বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এই দলের হয়েই খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। রেকর্ড ২৭ কোটি টাকার বিনিময় ঋষভকে দলে নিয়েছিল LSG। এবার নিজেদের নতুন তারকা ব্যাটার হাফ-সেঞ্চুরি করতেই প্রশংসার পোস্ট করতে দেখা গেল তাদের। ঋষভের সিডনিতে ছক্কা হাঁকানোর ছবি ব্যবহার করা হয়। ছবির উপরে বড় বড় করে লেখা রয়েছে - ‘জিনিয়াস! জিনিয়াস! জিনিয়াস!’
ক্যাপশনে লেখা রয়েছে - ‘কখনও কখনও এটা সাহসিকতার পরিচয়।’ ক্যাপশন লেখার সময় কায়দা করে ‘স্টুপিড’ কথাটি কেটে ‘ব্রেভ’ লেখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, গাভাসকরকে নিশানা করেই সেই পোস্ট করেছে লখনউ।
ঋষভকে নিয়ে যা বলেছিলেন সুনীল গাভাসকর:
ঘটনাটি ঘটেছিল মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৭৪ রান তাড়া করছিল ভারত। সিরিজের বাকি ইনিংসের মতো ফের ব্যর্থ হয় টপ অর্ডার। একটা সময় ফলো-অন বাঁচানো কঠিন মনে হচ্ছিল। এরকমই এক কঠিন পরিস্থিতিতে ক্রিজে ব্যাট করছিলেন ঋষভ পন্ত। তখন তিনি নিজের ভঙ্গিমায় উইকেটের পিছনে ছয় মারার চেষ্টা করেন। বলটি গায়ে লাগে। পরবর্তী ফের একবার একই কায়দায় ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন। এবার বল সোজা চলে যায় নাথান লিয়নের হাতে। সেই সময় ভারতের ফলো অন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন ছিল ৮৪ রানের। এরকম শট খেলে ঋষভ আউট হতেই তাঁর উপর ক্ষেপে যান কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। লাইভ টেলিভিশনে কমেন্ট্রি করার সময় - ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে ওঠেন।