অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য নয়া বিধি নিয়ে এসেছিল বিসিসিআই। সেখানেই বলা ছিল, সব ক্রিকেটারদেরই একসঙ্গে দলের সঙ্গে যাওয়া আশা করতে হবে। যদিও ইংল্যান্ডের এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামার আগে রবীন্দ্র জাদেজা চলে এসেছিলেন মাঠে, তবে একাই। কারণ তিনি মাঠে এসে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেন, যাতে নতুন বলে ইংল্যান্ডের পেসারদের বিরুদ্ধে তিনি তৈরি থাকতে পারেন। দিনের শেষে জাদেজা সেটাই করে দেখিয়েছেন যেটা দলের জন্য থেকে দরকারি ছিল।
কিন্তু বিসিসিআইয়ের তো নিয়ম রয়েছে ক্রিকেটারদের টিম বাসেই যাতায়াত করতে হবে, তাহলে এবার কি হবে? শাস্তির মুখে কি পড়বেন জাদ্দু? তবে না, যেহেতু একান্তই টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে, অনুমতি নিয়ে তিনি এই কাজ করেছেন, যা আখেরে দলের স্বার্থেই কাজে এসেছে, তাই এক্ষেত্রে বাঁহাতি তারকাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
শুভমন গিলের সঙ্গে প্রথম দিনে জুটিতে ৪১ রান যোগ করার পর ইংল্যান্ডের ডেরায় দ্বিতীয় দিনে তাঁরা যোগ করেন ২০৩ রান। জাদেজা ব্যক্তিগত ৮৯ রানের মাথায় আউট না হলে তিনি সেই পারফরমেন্স আরও পরিণত করতে পারতেন। একটুর জন্য দুর্দান্ত একটা শতরান মিস করেন এই তারকা, যদিও তাঁর জন্য তেমন আক্ষেপ নেই তাঁর।
জাদেজা বলছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল যে আমার আগে একটু ব্যাটিং করে নেওয়া উচিত কারণ বল তখনও নতুন ছিল। আমার মনে হয়েছিল যদি একটু নতুন বল খেলে নেওয়া যায় তাহলে বাকি ইনিংস খেলতে সুবিধা হবে। সৌভাগ্যবশত আমি মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত খেলার পর ওয়াসিংটন এসেও ভালো সেট হয়ে যায় গিলের সঙ্গে। ইংল্যান্ডের উইকেটে যত বেশি বল খেলা যায় ততই ভালো, তবে এখানে সেট হওয়া যায় না। কারণ ইংল্যান্ডের যেমন পরিবেশ, পিচ, তাতে বল যখন তখন সুইং হয় ’।
জাদেজা আরও বলেন, ‘দলকে যখন ব্যাট হাতে সমৃদ্ধ করি তখন ভালো লাগে, আর বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে দলের আরও বেশি করে দরকার এগুলো, তাই ভালো লাগছে খুব। ৫ উইকেটে ২১০ রান থেকে এত বড় পার্টনারশিপ করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় ভালোই লাগছে। এটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল, আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করি। এই ধরণের চ্যালেঞ্জই পরের ম্যাচগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাস এনে দেয় ’।