১৭ বছর ধরে মন ভাঙার পর অবশেষে ১৮তম বর্ষে এসে আইপিএলের চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দল। একটা সময় মনে হচ্ছিল, আইপিএলের ফাইনাল চলে যেতে বসেছে পঞ্জাব কিংসের দখলে। কিন্তু ফিল সল্ট এবং লিয়াম লিভিংস্টোনদের অনবদ্য ফিল্ডিং, সঙ্গে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার ম্যাচ জেতানো স্পেলটাই এই উইকেটে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল। পঞ্জাবের ক্রিকেটাররা তৈরি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান জোশ হেজেলউডের জন্য, কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে খেলা ঘুরিয়ে দিল ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার চার ওভারের বাঁহাতি স্পিনের ভেল্কিটাই। সেই সুবাদেই আরসিবি ৬ রানে ফাইনাল ম্যাচ জিতে প্রথমবার শিরোপা জিতল।
বিরাট কোহলির জন্য আসমুদ্র হিমাচল চাইছিল এই ট্রফিটা যেন আরসিবি যেতে, কারণ কোহলি নিজের কেরিয়ারে টি২০ বিশ্বকাপ থেকে ওডিআই বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সবই জিতেছেন, শুধুমাত্র আইপিএলটাই জেতা বাকি ছিল। বারবার কাপ জয়ের সামনে গিয়েও ছিটকে যেতে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত ২০২৫-এ এসে অপ্রত্যাশিত ঘটনাই যে ঘটল আরসিবির সঙ্গে, তথা বিরাট কোহলির সঙ্গে। আর তা দেখেই ভারতীয় ক্রিকেটের নায়ককে প্রশংসায় ভরালেন মাস্টার ব্লাস্টার্স সচিন তেন্ডুলকর।
বিরাটের জার্সি নম্বর ১৮, আর এটাও ছিল আইপিএলের ১৮তম সংস্করণ। তাই সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে অনেকেই মজা করে বলছিলেন,এবার বিরাটের শিকে ছিঁড়তে পারে। আর সেই সম্ভাবনা সত্যি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আরসিবির তারকাকে প্রশংসায় ভারিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার্স লিখলেন, ‘আরসিবিকে প্রথমবার আইপিএল ট্রফি জেতার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ১৮ নম্বর জার্সিধারী ব্যক্তিটি আইপিএলের ১৮তম সংস্করণে ট্রফি জিতল। খুব ভালো খেলে যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গোটা মরশুম জুড়ে পঞ্জাব কিংসও যে ক্রিকেটটা খেলেছে, তার জন্য তাঁদেরকেও অনেক অভিনন্দন’।
ভুলে গেলে চলবে না আরসিবির এই জয়ের অন্যতম বড় কারিগর ৩৬ বছর বয়সী বিরাট কোহলিই। ১৮ নম্বর জার্সির এই সুপারস্টার এবারের আইপিএলের ১৫টা ম্যাচে করেছেন ৬৫৭ রান। যারা ফাইনালে তাঁর ধীর গতির ব্যাটিং দেখে ভাবছিল, বিরাটই হয়ত ম্যাচটা হারিয়ে দিল এত ধীরে রান করে। তাঁরা হয়ত ম্যাচ শেষে আরসিবির হয়ে কোহলির ওই ৪৩ রানের ইনিংসটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ তিনি ওই রানটুকু না করে যদি দল আরও কম রান করত, তাহলে আরসিবির আর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া হত না। ফলে স্ট্রাইক রেট কম হলেও ওই ইনিংসের মাহাত্ম্য তাঁরাই ভালোই বোঝেন, যারা ক্রিকেটটা বোঝেন।