বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > লোকসভার ভোটযুদ্ধ > Suvendu Adhikari: স্বাস্থ্যসাথীর টাকা তৃণমূলের পৈত্রিক সম্পত্তি না কি? শুভেন্দু
পরবর্তী খবর
রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া সত্বেও বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন রেখা পাত্র। এই দাবি করে তৃণমূলের করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা কি পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ওই টাকা এনেছেন?
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘কী সাহস! একজন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের প্রতিবাদী মুখ, রেখা পাত্র। দলিত কন্যা। তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। আমি প্রশ্ন করি ওই ভাটাংশুকে, স্বাস্থ্যসাথীর টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পৈত্রিক সম্পত্তি না কি? আমরা কোনও প্রকল্পকে বিজেপির প্রকল্প বলি? আমরা বলি, ভারত সরকারের অর্থ মোদীজি চালু করেছেন।
কী সাহস! বলছে দিদির খাবি, আর মোদীর গুণগান করবি? যেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা - নেত্রীরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে এই সুযোগগুলো জনগণকে দিচ্ছে। গোটা রাজ্যটা দেউলিয়া। কী দিয়েছেন আপনারা? মায়েরা ঝাঁটা ধরবেন না? মাধ্যমিকে ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমেছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ২ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমেছে। কী বেড়েছে জানেন? ডিয়ার লটারি আর রাজ্যে ২১ হাজার মদের দোকান। এই রাজ্যের মদশ্রী মুখ্যমন্ত্রী আপনাদেরকে ২১ হাজার মদের দোকান দিয়েছে’।
আরও পড়ুন: প্রচারে ব্যস্ত, ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না মহুয়া মৈত্র
এদিন তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তথ্য তুলে ধরে লেখা হয়, ‘হাতে নাতে ধরা পড়েছে। বসিরহাটে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র দ্বিচারিতার চরম নজির রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে নিতে তিনি দিল্লির জমিদারদের হাত ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পরের বার ওনাকে ফোন করলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা জিজ্ঞাসা করবেন। কী করে আমাদের নেত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’
তৃণমূলের এই পোস্টকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেখা পাত্রের সরকারি গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ তুলেছে তারা। বিজেপির অভিযোগ, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই তথ্য জোগাড় করেছে তৃণমূল। এতে স্পষ্ট, পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনের তৃণমূলিকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে।