ফের বোনে-বোনে ডিভোর্স! সোনু-নেহা কক্করের পর আলাদা হলেন ‘চিঙ্কি-মিঙ্কি’ সুরভি-সমৃদ্ধি

কপিল শর্মার কমেডি শো থেকে বিখ্যাত হয়ে ওঠা যমজ বোন চিঙ্কি ও মিঙ্কি জুটি বেশ পছন্দ করেছেন দর্শকদের। দুই বোনই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। ভক্তরাও তাদের একসঙ্গে দেখে সবসময়ই খুব খুশি হন। চিঙ্কি-মিঙ্কির আসল নাম সুরভি ও সমৃদ্ধি। তবে এবার দুই বোনের ভক্তদের জন্য এল বেশ খারাপ খবর। কারণ তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে সকলের। সুরভি ও সমৃদ্ধি দুজনে যৌতভাবে সেই পোস্ট শেয়ার করে নিয়েছেন। যেখানে লেখা, 'ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, আমরা এখন থেকে জুটি হিসেবে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। এখন থেকে আমরা ব্যক্তিগত যাত্রার মাধ্যমে জীবনকে অন্বেষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' অর্থাৎ জুটি হিসেবে আর দেখা যাবে না তাঁদেরকে। পৃথকভাবে কাজ করবেন এবার থেকে সুরভি আর সমৃদ্ধি। এই বার্তার সঙ্গে সুরভি-সমৃদ্ধি ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমরা যা শেয়ার করেছি তার জন্য কৃতজ্ঞ এবং পরবর্তীতে যা হবে তার জন্য উত্তেজিত। আপনি আপনার ভালবাসা এবং আশীর্বাদ দিয়ে আমাদের উভয়কেই উৎসাহিত করতে থাকুন।’নেটপাড়া রীতিমতো বিষ্মিত এই ঘোষণায়। একজন লেখেন, ‘ভাই-বোনেরাও বনিবনা না হলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিচ্ছে। কেউ এক ফোঁটা মানিয়ে নিতে রাজি নয়’। আরেকজন লেখেন, ‘আমি পোস্টটা দেখে রীতিমতো অবাক। ভাবতেও পারছি না’। তৃতীয়জন লেখেন, ‘যা দেখছি কাপলদের থেকেও আজকাল ভাই-বোনদের ডিভোর্স ট্রেন্ড করছে।’আরেকজন লেখেন, ‘এতদিন জানতাম যাই হয়ে যাক, ভাই-বোনের সঙ্গ সারা জীবনের। এখন দেখছি আমার এই জানাও ভুল। কোন সময়ে এসে দাঁড়ালাম আমরা।’ পঞ্চম কমেন্টে লেখা, ‘জানি না আলাদা কাজ করলে আদৌ কে দেখবে! যদি টাইপকাস্ট হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁরা এমনটা করেন, তাহলে মেনে নেওয়া যায় তাও। কিন্তু দুই যমজ বোনের যদি এরপর মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়, তাহলে খুব কষ্ট পাব।’তাহলে কি পারিবারিক সম্পর্কও দিনদিন এত ঠুনকো হয়ে পড়েছে। সুরভি ও সমৃদ্ধির বিচ্ছেদ ভাবাচ্ছে নেটপাড়াকে। কিছুদিন আগে পরিবারের থেকে নিজেকে পৃথক ঘোষণা করেন গায়ক-সুরকার আমাল মালিক। বাবা-মা ও ভাই আরমান মালিকের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। এরপর সামনে আসে সোনু কক্করের বার্তা। যিনি জানান যে, ‘ভাঙা মন নিয়ে আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে, আমি আর দুই অতি গুণী নেহা কক্কর ও টোনি কক্করের দিদি নই। আমার এই সিদ্ধান্ত এসেছে মনের অনেক বড় বেদনা থেকে। আমি আজ সত্যিই ভেঙে পড়েছি!’