ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে মিঠিঝোরা-র শ্যুটিং। অন্তম দিনে চোখে জল আনা বার্তা দিয়েছেন ধারাবাহিকের তারকারা। তবে গল্পে এখন যে মোড় আসছে, তা দেখে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন দর্শকরা। অনেকেরই মনে আশাঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি ডিভোর্স দিয়েই শেষ হবে রাই ও অনির্বাণের পথ চলা।
আপাতত গল্পে দেখানো হচ্ছে যে, সন্তানের জন্মের পর রীতিমতো পোস্টপার্টেম ডিপ্রেশনের শিকার রাই। মন খারাপ, সন্দেহবাতিক হয়ে উঠেছে। আর রাইয়ের এমন অবস্থা দেখে, তাকে সামলানোর জায়গায়, ভুল বুঝতে শুরু করেছে অনির্বান। সেও স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িয়েছে দূরত্ব। এমনকী, জানিয়ে দিয়েছে সে আর রাইয়ের সঙ্গে সংসার করতে চায় না।
শেষ এপিসোডে দেখা যায়, সিমিকে এক কফিশপে ডেকে পাঠায় অনির্বাণ। এবং বন্ধুকে জানায়, সে রাইকে ডিভোর্স দেবে বলে ঠিক করেছে। এমনকী অনির্বাণকে বলতে শোনা যায়, রাইকে দেখলেও তাঁর মন বিষিয়ে ওঠে আজকাল। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে সিমি। কিন্তু কোনো লাভ হয় না।
সবটা শুরু হয়, যখন অনির্বাণ আর রাইয়ের সঙ্গে থাকতে আসে সিমি। আর বরের ছোটবেলার বান্ধবী সিমিকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয় রাইয়ের মনে। এমনিতেই, সন্তানের জন্মের পর মানসিক ও শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত রাই, সন্দেহের বশে বারংবার অপমান করে ফেলে সিমিকে। যা মেনে নিতে পারে না অনির্বাণ। পরে সিমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে, রাইয়ের মন থেকে সন্দেহর বীজ সরালেও, অনির্বাণ আর ফিরতে রাজি নয় রাইয়ের কাছে।

তবে খবর বলছে, মোটেও ডিভোর্স হবে না। শেষ এপিসোডের এক ঝলক এসেছে সামনে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মেয়ে বিল্লিকে কোলে নিয়ে, একে-অপরের সঙ্গে আদুরে অনির্বাণ-স্রোত। আর পিছনে সিমি একগাল হাসি নিয়ে দেখছে সবটা। যা দেখে স্পষ্ট, সে-ই দায়িত্ব নিয়ে দুজনকে আবার কাছাকাছি এনেছে। ধারবাহিকের অন্য দুই নায়িকার, জীবন গুছিয়ে নিতে দেখা গিয়েছে আগেই। মিল হয়েছে স্রোত-সার্থকের। নীলুও খুঁজে পেয়েছে তাঁর মনের মানুষ। সে-ও তাঁর সংসার সাজিয়েছে ক্রান্তির সঙ্গে।