Arijit Singh-Raj Chakraborty: ‘আমি নিজে জন্মে কোনওদিন ভাবিনি, তবে ওই ভদ্রলোক ভেবেছিল…’, যে কারণে আজও রাজের প্রতি কৃতজ্ঞ অরিজিৎ।
রাজকে ধন্যবাদ অরিজিতের
তিনি এলেন, দেখলেন আর বাঙালির মন জয় করলেন। অরিজিৎ সিং সবসময়ই প্রলচিত স্রোতের বাইরে হাঁটেন। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। শনিবার,গোটা নিউটাউন কার্যত থমকে গিয়েছিল অরিজিৎ সিং-এর কনসার্টকে ঘিরে। অ্যাকোয়াটিকা ওয়াটার পার্কে প্রায় ১০ হাজার দর্শকের সামনে গান গাইলেন জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র। ‘গেরুয়া বিতর্ক’-এর জবাব থেকে রূপম ইসলামকে ‘আমার রকস্টার’ বলে ওঠা, অরিজিতের বিনয়ী স্বভাব ফের প্রশংসিত সর্বত্র।
এদিন দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার বহু রথী-মহারথী। আসলে লাইভ কনসার্টে অরিজিতের গান শোনবার সুযোগ হাতছাড়া করার ইচ্ছে কারুরই ছিল না। এদিনের অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিলেন পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তাঁর উপস্থিতি নজর এড়ায়নি অরিজিতের। গায়কের কেরিয়ারের প্রথম ব্লকবাস্টার বাংলা গান ‘বোঝে না সে বোঝে না’। আজ থেকে এক দশকেরও বেশি সময় আগে রাজ চক্রবর্তীর ছবির জন্য এই গান রেকর্ড করেছিলেন অরিজিৎ। তাঁর কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকের গান এটি। অথচ আজকের প্রজন্মের কাছেও সমান জনপ্রিয় এই গান।
এদিনের কনসার্টের প্লে-লিস্টেও বাদ যায়নি এই সুপার-ডুপার হিট গান। তবে গিটার হাতে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ গাইবার আগে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন অরিজিৎ। মাইক হাতে রাজের উদ্দেশে বলে উঠলেন, ‘অনেকদিন আগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে….রাজ চক্রবর্তী, রাজদা এখানে বসে আছে। এই লোকটা প্রথম ভেবেছিল যে আমি কোনও ভিডিয়োতে মুখ দেখাতে পারি। আমি নিজে জন্মে কোনওদিন ভাবিনি, আমি করিও না ভিডিয়ো। তবে ওই ভদ্রলোকের মনে হয়েছিল ভিডিয়োতে আমার থাকা উচিত। ওটা আমার একদম প্রথম গান, তাই না রাজদা? (ঘাড় নেড়ে সম্মতি রাজের) এর জন্য থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ রাজদা’।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল রাজ চক্রবর্তীর ‘বোঝে না সে বোঝে না’। তখনও ‘মেরি আশিকি তুম হি হো’ মুক্তি পায়নি, সুতরাং গোটা দেশের হার্টথ্রব হওয়ার আগেই রাজ চক্রবর্তীর জহুরির চোখ চিনে নিয়েছিল অরিজিৎ সিং-এর প্রতিভা। সেই পুরোনো কথা মনে করেই এদিন টলি-পরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন অরিজিৎ সিং। এদিন অরিজিৎ যখন এই গান গাইছিলেন তখন রাজের পাশেই দর্শকাসনে বসেছিলেন শুভশ্রী। নিজের আসন থেকেই অরিজিতের সঙ্গে গলা মেলান রাজ ঘরণী। তাঁর কণ্ঠেও শোনা যায় 'বোঝে না সে বোঝে না'-র সুর। রীতিমতো আবেগঘন অভিনেত্রী।