সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাইয়ের প্রেম ও বিচ্ছেদের পর বহু বছর কেটে গেলেও, এখনও তাঁদের নিয়ে চর্চার অন্ত নেই।'হাম দিল দে চুকে সনম' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সলমন-ঐশ্বর্য। আর সেখান থেকেই হয়েছিল দুজনের প্রেমের সূত্রপাত। ছবিতে ছবিতে ঐশ্বর্যর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্মিতা জয়াকর। যিনি সম্প্রতি ছবির সেটে দুজনের বন্ধন নিয়ে কথা বললেন।
ফিল্মি মন্ত্র মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মিতা জানান, শুটিংয়ের সময় কলাকুশলীরা একসঙ্গে বসে গানের লড়াই খেলতেন।সলমন-ঐশ্বর্যর প্রেম সম্পর্ক প্রসঙ্গে স্মিতা বলেন, ‘হ্যাঁ, সেখানেই দুজনেই প্রেমে পড়েন। তাদের সম্পর্ক সেখানে শুরু হয়েছিল এবং তাঁদের এই রসায়ন ছবিটিকে সহায়তা করেছিল। তাদের দুজনের রোমান্স তাদের চোখেমুখে ফুটে উঠত।’
সলমন প্রসঙ্গে স্মিতা বলেন, ‘সলমন খুব বদমাশ ছিলেন। এখন তিনি কেমন জানি না, তবে সেই সময় তিনি বেশ দুষ্টুমি করতেন। তিনি একজন ভালো মানুষ এবং খুব খুব বড় মনের মানুষ। সেটে ওকে কখনও রাগ করতে দেখিনি। কার রাগ হয় না বলুন তো? মানুষ আসলে বাড়িয়ে বলে। যদি কেউ আপনাকে আঙুল দেখায়, তাহলে আপনার রাগ হবেই। আমরা জানি না অন্য মানুষ কী করেছে যার জন্য সামনের মানুষটার রাগ হয়েছে।’
আর ঐশ্বর্য প্রসঙ্গে স্মিতা বলেন, 'মেকআপ ছাড়া ঐশ্বর্য খুবই সুন্দরী। সে খুব মিষ্টি এবং ডাউন টু আর্থ। সঞ্জয় লীলা বানশালি পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অজয় দেবগন ও সলমন খান। ছবিটি সুপারহিট হয়েছিল। ঐশ্বর্য ও সলমনের জুটি দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
এই ছবির সময় ঐশ্বর্য ও সলমনের সম্পর্ক শুরু হয় এবং এরপর ২০০২ সালে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী। এমনকী সেই সময় সলমনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও তোলেন ঐশ্বর্য। তবে কখনো রাই-সুন্দরীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি সলমন খান।
সলমনের পর, ঐশ্বর্য সম্পর্কে জড়ান বিবেক ওবেরয়ের। সেই সম্পর্কও শেষ হয় তিক্ততার সঙ্গে। এরপর ঐশ্বর্য বিয়ে করেন অভিষেক বচ্চনকে।