২০১৯ সালে বিয়ে করেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী মিথিলা আর ভারতের পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যদিও এখন খবর রয়েছে যে, সৃজিত ও মিথিলার সম্পর্ক নাকি আর আগের মতো নেই। এমনকী, আজকাল ভারতে কাজ ছাড়া সেভাবে দেখাও যয় না মিথিলাকে। সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের প্রথম ডিভোর্স, মেয়ের দায়িত্ব,প্রথম স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের গায়ক-অভিনেতা তাহসান রহমান খানকে বিয়ে করেন মিথিলা। সেই সময় পড়শি দেশের ড্রিম কাপল ছিল মিথিলা ও তাহসানের জুটি। তাঁদের এক কন্যা সন্তানও হয়। তবে ২০১৭ সালে এসে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তঁরা।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে মিথিলা ডিভোর্স প্রসঙ্গে বললেন, ‘ডিভোর্স কখনোই সহজ নয়। আমি নিজেও তখন অনেক ছোট। সদ্য মা হয়েছি। জীবনের এত বড় সিদ্ধান্ত নিতেও প্রস্তুত ছিলাম না। ২০১৫ সালে আমি সেপারেশনে গিয়েছি। তারপর দুই বছর অপেক্ষা করেছি। ভেবেছি সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর ২০১৭ সালে নেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত।’
নিজের ও তাহসানের সম্পর্ক নিয়ে মিথিলা এই পডকাস্টে বলেন, ‘মানুষ বাইরে থেকে দেখেছে আমাদের। তাঁদের কল্পনার দম্পতি আমি। বাস্তবটা কিন্তু একদম আলাদা। একটা কারণে কখনো ডিভোর্স হয় না। অনেকগুলো কারণ থাকে এর পিছনে। তবে আমি কারও প্রতি ক্ষোভ রাখি না। আমি পিছনে থাকি না। আয়রা (মিথিলা-তাহসানের কন্যা)-র সঙ্গে ওর বাবার সম্পর্ক খুব ভালো। বাবাকে খুব ভালোবাসে। তাই আমরা ওর জন্য অন্তত একসঙ্গে হওয়ার চেষ্টা করি।’
সৃজিতের সঙ্গে বিয়ের পর, মিথিলাকে কলকাতার এক স্কুলে ভর্তিও করেছিলেন মিথিলা। সৃজিতের সঙ্গেও খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আয়রার। তবে বছরখানেক আগে, ফের বাংলাদেশে মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মিথিলা। সেখানকার এক স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। তবে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে দুজনেই বন্ধ রেখেছেন মুখ।
তবে মেয়েকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে মিথিলার জবাব ছিল, ‘আফ্রিকায় একটা কথা আছে, একটা বাচ্চাকে বড় করতে পুরো গ্রামের প্রয়োজন। এটাই সত্যি।’ এরপর নিজের বক্তব্য বুঝিয়েও বলেন তিনি। কর্মরত মা তিনি। আয়রাও এখন অনেকটাই ছোট। তাই সন্তানের যত্নের জন্য প্রয়োজন পড়ে ঠাকুরদা-ঠাকুমা, শাশুড়ি (তাহসানের মা), বন্ধুদের। আর সেটা রয়েছে বাংলাদেশেই।