১৯৯৬ সালে গোপনে রেজিস্ট্রি করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে দুই পরিবারের অমত থাকলেও, পরবর্তীতে দুই পরিবার মত দেয় এই সম্পর্কে। এরপর ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের পরিবার দুজনের বিয়ে দেন। এবার সামাজিক ভাবে, বেশ ধুমধাম করে। আর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে জন্ম দেন কন্যা সন্তান, সানা গঙ্গোপাধ্যায়ের।
মা-বাবার একমাত্র মেয়ে সানা, বড়ই আদরের। বর্তমানে লন্ডনে কর্মরত ২৪ বছরের সানা। মোটা মাইনের চাকরি করছেন সেখানে। মেয়ে বাইরে থাকলেও, বাবার কড়া নজর থাকে মেয়ের প্রতি। তা সৌরভের কথা থেকেই স্পষ্ট।
একবার দাদাগিরিতে অভিনেত্রী অদিতি চট্টোপাধ্যায় সৌরভের কাছে জানতে চান, ‘ধরুন সানা যদি বিয়ে করতে চায়, তাহলে কী করবে অ্য়ারেঞ্জ ম্যারেজ নাকি লাভ ম্যারেজ?’ এই ভিডিয়োটি অবশ্য বছর পাঁচ আগের। তখন মহারাজ-কন্যার বয়স ছিল মাত্র ১৮।
জবাবে সৌরভ বলেছিলেন, ‘সে এখন ১৮, তো আমি বলেছি। আশেপাশে যদি কাওকে দেখা যায়, বাবা পেদিয়ে ছত্রাকার করে দেবে।’ শুনে হেসে ফেলেন সকলে। এখানেও থেমে না থেকে সৌরভ বলেন, ‘বাবা সব করতে পারবে। মেয়ে পারবে না’।
বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যলয় UCL অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিত স্নাতক পাশ করেছেন সানা গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত সেখানে একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থায় কাজ করছে সে এখন। ভবিষ্যতে মাস্টার্স করারও ইচ্ছে রয়েছে। সানা টুয়েলভ পাস করেন কলকাতার স্বনামধন্য লোরেটো হাউস স্কুল থেকে। আইএসসি-তে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮ শতাংশ।
এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মেয়ের লন্ডনের পড়াশোনা ও চাকরি নিয়ে জানিযেছিলেন, ‘উপার্জনের জন্য সানাকে চাকরি করতে পাঠাইনি তো! পাঠিয়েছি নিয়মানুবর্তিতা শেখাব বলে। চাকরি করা মানেই তো নিয়মানুবর্তিতা। ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষ, সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা। সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, ঘুমোতে যাওয়া। ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করা। নিজেকে নিজের দায়িত্বে সামলে চলা।’ লন্ডনে গেলে শুধু সানা নন, তাঁর বন্ধুদের সঙ্গেও সময় কাটাতে দেখা যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এমনিতেও সব বয়সীদের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন মহারাজ।
প্রসঙ্গত, খুব জলদিই ফ্লোরে যাচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক। ২০২৬-এর শুরুতেই শ্যুট শুরুর কথা। দাদার ভূমিকায় রুপোলি পর্দায় থাকছেন রাজকুমার রাও। আপাতত জোর কদমে শেষ করা হচ্ছে প্রি প্রোডাকশনের কাজ।