‘শাস্তি চাই পুলিশ মন্ত্রীরও নইলে গদি থেকে সরো’, রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়াদের অভিনব প্রতিবাদ

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা। পথে নেমে চলছে প্রতিবাদ। কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের আকাশ-বাতাস মুখরিত একটাই রবে- ‘শাস্তি চাই, বিচার চাই’।এর মধ্যেই আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর হয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানালো রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ড্রামা ডিপার্টমেন্টের পড়ুয়ারা। আর জি কর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। পথে নেমে গান গেয়ে বিচার চাইল তাঁরা, দাবি তুলল শাস্তির। তাঁদের নিশানা থেকে বাদ পড়ল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।নেটফ্লিক্সের সিরিজ মানি হাইস্টের সুবাদে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘বেলা চাও’ গানটি। যদিও এই ইতালিয় গানের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। ফ্যাসিবাদ এবং শোষণ বিরোধী এই গানের সুর ধার করেই এদিন আরবিইউ-এর ছাত্রছাত্রীরা গাইল- ‘এ পাশে এসো, হাতটা ধরো, এবার চিৎকার করে বলো- চাই চাই চাই, শাস্তি চাই, ধর্ষক-খুনীদের, নইলে গদি থেকে সরো…’। এখানেই থামল না তাঁরা। সমবেতভাবে গেয়ে উঠল- ‘এ পাশে এসো, হাতটা ধরো, এবার চিৎকার করে বলো- চাই চাই চাই, শাস্তি চাই স্বাস্থ্য মন্ত্রীরও, নইলে গদি থেকে সরো…’। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে তাঁরা। প্রসঙ্গত. এই দুই পদেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নির্ডর হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালো পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার মোদীকে চিঠি লিখে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি লেখেন, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হোক। ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করা হোক বিচারপ্রক্রিয়া। মমতা দাবি করেছেন, মহিলারা যাতে সুরক্ষিত বোধ করেন, সেজন্য ধর্ষণের ঘটনায় ইতি টানতে হবে। সেটা সকলেরই দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্ব পালনের জন্য ধর্ষণের ঘটনায় ইতি টানতে হবে। প্রণয়ন করতে হবে কঠোর আইন। দ্রুত শুনানির সময় ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট গঠন করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে শেষ বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবি তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ওদিকে আরজি কর কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। ফের একবার সর্বোচ্চ আদালতে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। কেন দেরিতে দায়ের হল খুনের মামলা? শুধুমাত্র জেনারেল ডাইরির ভিত্তিতেই কীভাবে পোস্টমর্টেম? ক্রাইম সিন সিল করতে কেন ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগল পুলিশের?বৃহস্পতিবার সুপ্রিম শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পাঁচদিন পরে ঘটনার তদন্তভার হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ততদিনে সব পালটে দেওয়া হয়েছে।