বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Jawan Review: কিং খানের দাপটে ঘুম ভাঙল ‘সরকার’-এর, জওয়ানে কি মিশে গেল রিল ও রিয়েল?
পরবর্তী খবর
Jawan Review: কিং খানের দাপটে ঘুম ভাঙল ‘সরকার’-এর, জওয়ানে কি মিশে গেল রিল ও রিয়েল?
3 মিনিটে পড়ুন Updated: 07 Sep 2023, 10:49 AM ISTSubhasmita Kanji
Jawan Review: মুক্তি পেল শাহরুখ খান অভিনীত জওয়ান। অ্যাটলি পরিচালিত এই ছবি কেমন লাগল জানাচ্ছে HT বাংলা।
দেশকে বাঁচাতে জওয়ান রূপে হাজির শাহরুখ
জামা কেনা হোক বা ফোন, গাড়ি, বাড়ি কিংবা সামান্য মাসকাবারির চাল কেনা, সবেতেই হাজারো প্রশ্ন করি আমরা, ভালো হবে তো, ছেঁড়া বা খারাপ হবে না তো? ইত্যাদি প্রভৃতি। প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিতে ভুলি না দোকানদারকে, ‘খারাপ হলে কিন্তু ফেরত দিয়ে যাব’ বা 'বুঝে নেব।' আর পাঁচ বছরের জন্য যখন সরকার নির্বাচন করি তখন কতবার ভাবি বা জিজ্ঞেস করি নিজেকে? আদৌ করি কি? অল্প কথায় জওয়ানের রিভিউ বললে এই প্রশ্নের উত্তরটুকু।
এবার আসি বাকি বক্তব্যে। লম্বা বিরতি কাটিয়ে এ বছর ফের বড় পর্দায় ফেরার পর শাহরুখের দ্বিতীয় ছবি জওয়ান কেমন হল, কী নিয়েই বা হল এই ছবি জানাচ্ছে HT বাংলা। পাঠান ছবি নিয়ে অনেক বিতর্ক, অনেক কিছু হয়েছিল, আর জওয়ান যেন পুরো আউট অব সিলেবাস এসে প্রতি বলে ছক্কা হাঁকিয়েছে।
কৃষক আত্মহত্যা থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা বা সমাজের অধঃপতন সবটাই, বলা ভালো সমাজের, সরকারের প্রতিটা সমস্যাকে এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। সরকার বড় বড় ব্যবসায়ীদের সাহায্য করলেও, তাঁদের ঋণ মকুব করলেও বা তাঁরা ঋণ নিয়ে বিদেশ পালিয়ে গেলেও কিচ্ছুটি করতে পারে না অনেক সময়। এদিকে কৃষকদের সুদ দিতে দেরি হলে তাঁদের উপর ব্যাংক কর্মীরা অকথ্য অত্যাচার চালায়। কিন্তু এই চলতে থাকা অবক্ষয় আটকাবে কে? কেই বা প্রতিরোধ করবে অন্যায়ের? আর কীভাবে?
বহু ছোটবেলায় আমরা রবিন হুডের গল্প পড়ে এসেছি। সেটার আঙ্গিকেই এই ছবিতেও ভয় দেখিয়ে চলে অন্যায়কে আটকানোর প্রচেষ্টা। কিন্তু আদতে এই মুখোশধারী কে? কোথা থেকেই বা তাঁর এই ৬ সঙ্গীকে পেলেন? কীই বা তাঁদের ইতিহাস? সেটা বলে দিলে তো সিনেমা দেখতে যাওয়া অর্থহীন। এই উত্তর পেতে চাইলে হলে যেতেই হবে।
তবে এটুকু বলতে পারি গোটা ছবি জুড়ে শাহরুখের বিভিন্ন শেড দেখতে পাবেন। সে কখনও জেলার, কখনও জওয়ান, কখনও সাধারণ মানুষ আবার কখনও...। এক কথায় বলতে গেলে পাঠানের থেকেও জওয়ান ছবিতে বেশি নজর কেড়েছেন শাহরুখ।
রুদ্ধশ্বাস পৌনে তিন ঘণ্টা। এই পৌনে তিন ঘণ্টায় পর্দা থেকে এতটুকু চোখ ফেরানো যায়নি। মাঝের পনের মিনিটের ব্রেক অসহ্য মনে হয়েছে। এতটাই টানটান স্ক্রিপ্ট। এমনই গল্পের বাঁধুনি। আর চমক? ওরে বাবা! এটার জন্য বোধহয় ছবিটা অন্তত দুবার দেখা যায়।
এবার আসি অভিনয়ে। শাহরুখকে নিয়ে নতুন করে কীই বা আর বলি। তাঁর ফার্স্ট লুক থেকে শেষের নাচের দৃশ্য পর্যন্ত হাঁ করে তাকিয়ে থাকা যায়। এই বয়সে এসেও মানুষটা যাঁর সঙ্গেই স্ক্রিন ভাগ করুন না কেন তাঁর সঙ্গেই পর্দাতে আগুন ঝরান। নয়নতারার সঙ্গে এই প্রথম স্ক্রিন ভাগ করলেন কিং খান কিন্তু ভীষণ ভালো লাগল তাঁদের জুটি। নয়নতারা আলাদা ভাবে তাঁর ক্যারিশমা এবং অভিনয়ে নজর কেড়েছেন। দীপিকার রোল ছোট, কিন্তু জরুরি। কী রোল, সেটা দেখলে রীতিমত ছিটকে যেতে পারেন। মানে এমন টুইস্ট অনেকেই ভাবেননি।
অন্যান্য চরিত্রে সানিয়া মালহোত্রা, সঞ্জিতা ভট্টাচার্য, গিরিজা ওক, প্রমুখ বেশ ভালো। বরং সবার তুলনায় খলনায়ক হিসেবে বিজয় সেতুপতি একটু কম কম যেন কোথাও একটা।