নায়িকাদের মধ্যে ক্যাট-ফাইট কিছু নতুন নয়। বলিউড হোক বা টলিউড, সর্বত্রই একই ছবি। একসময় দীপিকা ভার্সেস সোনম, করিনা ভার্সেস কঙ্গনাকে নিয়ে কতই না খবর হত। টলিউডেও কিন্তু একসময় বেশ রেশারেশি ছিল কোয়েল ও স্বস্তিকার মধ্যে। এখানেই শেষ নয়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। দাবি করেছিলেন, তাঁর অভিনয় কেরিয়ার নষ্ট করার পিছনে হাত আছে ঋতুপর্ণার। আর এবার দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে ‘খারাপ সম্পর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন শতাব্দী রায়।
বহুদিন পর বড় পর্দায় ফিরছেন শতাব্দী। একসময় প্রসেনজিৎ-শাতব্দী হোক বা তাপস-শতাব্দী, জুটি ছিল সুপার-ডুপার হিট। তবে আচমকাই যেন নিজেকে সরিয়ে নেন অভিনয় থেকে। মাঝে একেবারে মনপ্রাণ ঢেলে করেছেন রাজনীতি। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবশ্রী রায় জানালেন, একঘেয়ে লাগছিল অভিনয়। যেন একটুতেই বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন। আর তাই অভিনয় থেকে বিরতি।
সেই সাক্ষাৎকারেই তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দী’ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, দেবশ্রী রায়ের নাম নেন শতাব্দী। বলেন, ‘সেই সময়ে শতাব্দী মানেই নম্বর ১ হিরোইন। আমার ধারে কাছেও কেউ ছিল না যে দ্বন্দ্ব হবে।’
তবে নাম নেন দেবশ্রী রায়ের। জানান, দুজনের মধ্যে সম্পর্ক একদমই ভালো ছিল না। আনন্দবাজারকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে দেবশ্রীকে নিয়ে শতাব্দী আরও বলেন, ‘কোনও দিনই কথা বলিনি (দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে), দুটো ছবি করেছিলাম একসঙ্গে তাও খুবই কষ্ট করে। সবাই দেখে বুঝতে পারত’। সঙ্গে আরও জানান যে, সেই ছবিতে বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) ছিলেন বলে সাংবাদিকরা এসব নিয়ে খুব একটা লেখালিখি করেননি। আটকেছিলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’।
শতাব্দী জানালেন যে, যদিও বর্তমানে তিনি আর দেবশ্রী ভালো বন্ধু এখন। বললেন, ‘কথা হয় ফোন। যদিও দেখা হলে বলব, দোষটা ওরই বেশি ছিল। সিনিয়র হয়ে যদি এগিয়ে এসে কথা বলত, তাহলে অনেকদিন আগেই বন্ধু হতে পারতাম আমরা। বাকি আর কারও সঙ্গেই আমার কোনও খারাপ ঘটনা ঘটেনি।’