টর্নেডোর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ফ্লোরিডা! উড়ে গেল বাড়ি, উপড়ে পড়ল গাছ

বিধ্বংসী টর্নেডোর তাণ্ডবে তছনছ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা। লার্গোর র্যাঞ্চেরো ভিলেজ এলাকায় এখন শুধুই ধ্বংসের ছবি। কোথাও উপড়ে পড়েছে গাছ, কোথাও ছাদ উড়েছে বাড়ির। কোথাও আবার উড়ে গিয়েছে আস্ত মোবাইল হোম। শক্তিশালী টর্নেডোর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা।ইতিমধ্যে টর্নেডোর তাণ্ডবের নানা ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গেছে, কোথাও টর্নেডোর আঘাতে উপড়ে পড়েছে গাছ, কোথাও আবার ভেঙে পড়েছে আস্ত বাড়ি। কোনও বাড়ি ভগ্নস্তূপ।অতি শক্তিশালী এই টর্নেডোর জেরে ফ্লোরিডার বহু বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একাধিক বাড়ির ছাদও উড়ে গেছে। অধিকাংশ এলাকাই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্ধকারে দিন কাটছে বাসিন্দাদের।যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতির মুখে। এক্স পোস্টে লার্গো পুলিশ জানিয়েছে,'সন্ধ্যায়, লার্গো ফায়ার রেসকিউ এবং লার্গো পুলিশ বিভাগ উলমার্টন রোডের ৭০০০ ব্লকে র্যানচেরো ভিলেজ এবং বে র্যাঞ্চ ম্যানুফ্যাকচারড হোম কমিউনিটিতে টর্নেডোর তাণ্ডবের খবর পায়। সেখানে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।উদ্ধারকারী বাহিনী ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে।' এই মুহূর্তে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।পুলিশ আরও জানিয়েছে, 'আমরা জনসাধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে কর্মীরা নিরাপদে উদ্ধারকাজ কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।'আরও পড়ুন-ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান 'পাগল কমিউনিস্ট'! নিউ ইয়র্কের সম্ভাব্য মেয়রকে কটাক্ষ ট্রাম্পেরর্যানচেরো ভিলেজের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সেই ভয়াবহ মুহূর্তের কথা বর্ণনা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এ রকম ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আগে হয়নি কখনও।কান ফেটে যাচ্ছিল আওয়াজে।তাদের আশেপাশের এলাকাজুড়ে বহুক্ষণ ধরে চলে টর্নেডোর তাণ্ডব। যার জেরে তাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'ঝড় আঘাত হানার সময় তিনি টেলিভিশন দেখছিলেন। হঠাৎ একটি মালবাহী ট্রেনের মতো দ্রুত বেগে টর্নেডো আছড়ে পড়ে।এরপরে ভয়ে আমি শৌচালয়ে দৌড়ে যাই। সেখানেই আমার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বলে মনে হয়েছিল।'আরও পড়ুন-ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান 'পাগল কমিউনিস্ট'! নিউ ইয়র্কের সম্ভাব্য মেয়রকে কটাক্ষ ট্রাম্পেরতবে উদ্বেগ এখনই কাটছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাতে তীব্র বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে। গ্রীষ্মের শুরুর দিকের ঝড়গুলি প্রায়শই বাতাসের সংস্পর্শে এসে বায়ুমণ্ডলীয় অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। যার ফলে তীব্র বাতাস, শিলাবৃষ্টি এবং টর্নেডোর সম্ভাবনা দেখা দেয়।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর বলি হয়েছিলেন ৫৪ জন।