শীতকাল মানেই তো গরুমারা, জলদাপাড়া। শীতকাল মানেই তো ডুয়ার্স। জঙ্গলের টানে, জঙ্গল সাফারির টানে বহু পর্যটক সেখানে যান। কেউ কেউ আবার হাতি সাফারি করেন। দারুন অভিজ্ঞতা হয়। পরিবার নিয়ে হাতির পিঠে চেপে জঙ্গল ভ্রমণ। অপূর্ব সেই জঙ্গল। একেবারে অন্য় জগত।
তবে পর্যটকরা জঙ্গলের কোর এরিয়ায় যেতে পারেন না। একটা নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত তাঁরা যেতে পারেন। সেখানেই হয় জঙ্গল সাফারি। তবে জঙ্গলের একেবারে অন্দরমহলে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ রয়েছে। কারণ সেই জগৎ কেবলমাত্র বন্য জীবজন্তুদের জন্যই। সেখানে গিয়ে বনের প্রাণীদের কোনওভাবেই বিরক্ত করা যায় না। এই জঙ্গল বাংলার গর্ব। এই জঙ্গল বাংলার অলঙ্কার, বাংলার অহঙ্কার।
তাছাড়া জঙ্গলের একটা নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। সাধারণ পর্যটকদেরও সেই নিয়ম কানুন মানতে হয়। তবে জলদাপাড়ার গভীর জঙ্গলে কী আছে, সেখানে বন্য জীবজন্তুরা ঠিক কীভাবে থাকে তা জানার আগ্রহ থাকে অনেকেরই। তবে এবার জলদাপাড়ার একটা ভিডিয়ো সামনে এসেছে। ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন পরভীন কাসোয়ান( আইএফএস)। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানেই রয়েছে জলদাপাড়ার জঙ্গলের অপূর্ব দৃশ্য। তিনি লিখেছেন, জলদাপাড়া ন্যাশানাল পার্ক। হোয়াট এ বিউটি।
বাস্তবিকই বাংলার এই জঙ্গল যেন সৌন্দর্যের ভান্ডার নিয়ে রয়েছে। চারদিক একেবারে সবুজে সবুজ। সম্ভবত ড্রোন দিয়ে তোলা হয়েছে ভিডিয়োর কিছু অংশ। সেখানে উপর থেকে জীবজন্তুদের দেখা যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার জঙ্গল এলাকায় অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা যায় না।
অনেকেই জলদাপাড়ায় যান গন্ডার দেখার জন্য। তবে সবসময় যে গন্ডার দেখা যায় তেমনটা নয়। একটা দুটো ময়ুর চোখে পড়ে। ভাগ্য ভালো থাকলে বাইসনের দেখাও মিলতে পারে।
তবে যে ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে বর্ষার জলদাপাড়া।অপূর্ব সেই ছবি। চোখ ফেরানো যায় না।হাতি, গন্ডার, বাইসন, হরিণ। বাংলার এই জঙ্গলের বাসিন্দা তারা। বিভিন্ন ঋতূতে জঙ্গলের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে এই ভিডিয়োতে। এত সুন্দর চারপাশটা যে মন ভরে দেখতে ইচ্ছা করে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় রয়েছে এই ন্যাশানাল পার্ক। তোর্ষা নদী পাশেই। প্রায় ২১৬.৫১ কিমি জুড়ে এই অরণ্য। এখানে মূলত ভারতীয় গন্ডারের বাস। এছাড়াও নানা ধরনের জীবজন্তু রয়েছে এখানে। জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। ডুয়ার্সের এই জঙ্গল দেখতে বহু পর্যটক দেশ বিদেশ থেকে এখানে আসেন।