ধাপে ধাপে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। আর এবার তারই বাস্তবায়ন হচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ে একাধিক সরঞ্জাম আমদানি রুদ্ধ করা হচ্ছে। আর সদ্য কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, যে , আপও ৯২৮ টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল।
ডিসেম্বর ২০২৩ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি রুদ্ধ করা হচ্ছে। এই নতুন ৯২৮ টি সামগ্রীর আমদানি রুদ্ধ করার প্রক্রিয়া তারই মধ্যে রয়েছে। যাতে দেশের মাটিতে আরও বেশি করে প্রতিরক্ষা সামগ্রী নির্মাণ করা যায়, তার জন্যই এই প্রচেষ্টা বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত প্রতিরক্ষা সামগ্রীকে দেশে আমদানি করার ক্ষেত্রে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ জাহাজ, ট্রেনার এয়ার ক্রাফট। এছাড়াও বিভিন্ন ধরেনর অস্ত্র। এর আগে দেশে প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল, তারও মেয়াদ ছিল ২ বছর। সেটি সেটি ডিসেম্বর ২০২১ থেকে মার্চ ২০২২ ও তারপর অগাস্ট ২০২২ পর্যন্ত লাগু ছিল।
( কড়াই ভর্তি মাংসে এন্তার ঝাল দিয়েছেন? স্বাদ ঠিক করতে ঝটপট কী করণীয়! রইল টিপস)
( কর্ণাটকের পর পাখির চোখ রাজস্থানে, কী কৌশল নিতে পারে বিজেপি, কংগ্রেস?)
এদিকে, এই নয়া সরঞ্জামের আমদানির নিষেধাজ্ঞায় ৭১৫ কোটি টাকার প্রতিস্থাপন মূল্য অন্তর্নিহিত রয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ প্রতিরক্ষায় ‘আত্মনির্ভরতা’ (আত্মনির্ভরতা) প্রচার করতে এবং ডিরিএসইউ দ্বারা আমদানি কমাতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চতুর্থ ইতিবাচক স্বদেশীকরণ তালিকা অনুমোদন করেছে ৯২৮ টি প্রতিরক্ষা সামগ্রীর।’ এই বিবৃতিতেই ৭১৫ কোটি টাকার প্রতিস্থাপন মূল্য উল্লেখিত হয়েছে। এক অফিশিয়াল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়সীমার পরে ভারতীয় সংস্থাগুলির দ্বারা নির্মিত ওই সমস্ত সামগ্রী সংগ্রহ করা হবে। জানা যাচ্ছে, নতুন পদক্ষেপে সুখোই-৩০, জাগুয়ারের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির পথে এগোবে ভারত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক