জম্মু কাশ্মীরের উধমপুরে পুলিশ ও সেনাদের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত এক জঙ্গি। গোপন সূত্রে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অপারেশন বিহালি লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। সেই অপারেশনের অংশ হিসেবেই জইশ-ই-মহম্মদের এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হল। বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এই সংক্রান্ত পোস্ট করে বিস্তারিত জানিয়েছে ভারতীয় সেনার হোয়াইট নাইট কর্পস। জম্মু কাশ্মীরের উধমপুর জেলার বসন্তগড় এলাকায় এখনও অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন - কর্ণাটকে খাবারের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ৫ বাঘের, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস মন্ত্রীর
কী বলল সেনা?
সেনা সূত্র অনুযায়ী, জইশ-ই-মহম্মদের ওই জঙ্গি পাকিস্তান থেকে দেশে ঢুকেছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ অপারেশনে জঙ্গিটি নিহত হওয়ার খবর আসে। প্রসঙ্গত, সকাল এগারোটা নাগাদ সেনা অপারেশন শুরু হওয়ার খবর দিয়েছিল। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অপারেশন বিহালি শুরুর ৬ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম সাফল্যের খবর জানাল হোয়াইট নাইট কর্পস।
এনকাউন্টারে নিকেশ
সূত্র মারফত খবর, চলমান এনকাউন্টারে দুই পক্ষই গুরুতর জখম হয়েছে। গতকাল গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে জানান সন্ত্রাসবাদীদের সম্ভাব্য অবস্থান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। জম্মু জোনের আইজিপি ভীম সেন টুটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভোরবেলা নাগাদ এনকাউন্টার শুরু হয়েছে এবং অভিযান এখনও চলছে।’
আরও পড়ুন - প্রতি ১২ বছর অন্তর কী হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে? কেন আজও রহস্যে ঘেরা এই আচার
পাকিস্তান থেকে ট্রেনিং
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সমর্থিত ওই জঙ্গির খোঁজ গত রাতেই পাওয়া গিয়েছিল। এর পরই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। ভোর রাত নাগাদ কুরু ফরেস্টের কাছে টের পাওয়া যায় তাদের উপস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলার পর কবজায় আসে ওই জঙ্গি। ভারতীয় সেনার ফাতে নিহত হয় জঙ্গিটি।
কাঠুয়া হামলার নেপথ্যে
প্রসঙ্গত, কাঠুয়া, দোদা ও উধমপুর জেলায় সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে এই জঙ্গিটির হাত ছিল বলে জানাচ্ছে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে জঙ্গিটির ট্রেনিং হয় পাকিস্তান স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ থেকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, উধমপুর এলাকায় গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল এই জঙ্গি। পাশাপাশি জইশ-ই-মহম্মদের গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার ছিল জঙ্গিটি।