'জেডিইউ অফিসে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রয়েছে।' বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করেছেন আরজেডি নেতা তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। দুয়ারে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সময় যত এগচ্ছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে বিহারের রাজনীতি। একদিকে বিজেপি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ ও এলজেপির এনডিএ শিবির। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি, কংগ্রেস ও অন্যান্য দলগুলির ‘মহাজোট’। গত নির্বাচনে খুব কাছাকাছি গিয়েও আশাভঙ্গ হয়েছিল বিরোধী জোটের। এবার সেই ফলের পুনরাবৃত্তি আর হবে না বলেই দাবি করছেন লালু-পুত্র।
এনডিটিভির এক সাক্ষাৎকারে তেজস্বী যাদব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সুস্থ নন। সেই কারণেই জেডিইউ অফিসে, যেখানে কখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ছিল না, এখন সেখানে তাঁর ছবি ঝুলছে। এই সেই মুখ্যমন্ত্রী যার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে করমর্দনের সময় ঝগড়া হত। এখন তাঁর অফিসেই মোদীজির ছবি রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে কিছু লোক আমাকে বিজেপিতে নিয়ে গেছে, তাই আমি চলে গেলাম। তাঁর মনই ঠিক নেই। প্রতিবার অদ্ভুত মন্তব্যের পর নীতীশ কুমার বলেন যে তিনি আর দল বদল করবেন না। আপনি বারবার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করছেন কেন? তিনি জানেন যে তাঁর কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। বয়সও একটি বিষয়। তিনি আর বিহার সামলাতে পারবেন না।'
আরও পড়ুন-প্রথম সন্তান জন্মানোর কয়েকদিন আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন জার্মানির যুবরাজ
এনডিএ-র 'জঙ্গলরাজ' সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে লালু-পুত্র বলেন, 'আমরা ১৭ মাসে কাজ করেছি। বলুন তো সেই ১৭ মাসে কোন জঙ্গলরাজ হয়েছিল? আমি দুই মেয়াদে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম। জঙ্গলরাজ কি এসেছিল? আমরা চাকরি দিয়েছি, বিনিয়োগ এনেছি, সংরক্ষণ বৃদ্ধি করেছি। আমরা বিষয় নিয়ে কথা বলি, আমরা মানুষের মধ্যে থাকি।' তিনি অভিযোগ করেছেন যে বিহার নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন একটি ষড়যন্ত্র।তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে।
আরও পড়ুন-প্রথম সন্তান জন্মানোর কয়েকদিন আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন জার্মানির যুবরাজ
তেজস্বী যাদবের কথায়, ভোটার তালিকা সংশোধনে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। নির্বাচনে ছয় মাসেরও কম সময় বাকি, এখন কেন এই পদক্ষেপ নেওয়া হল, তা জানতে চান তিনি। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধনের নিয়মিত প্রক্রিয়া শেষবার ২০০৩ সালে হয়েছিল... তারপর থেকে আর হয়নি। এবং ২০০৩ সালে যখন এটি হয়েছিল, তখন তা সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল।'
আরজেডি নেতা আরও বলেন, 'এবার নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে... বিজ্ঞপ্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে আর দুই মাস বাকি। এর মানে হল নির্বাচন কমিশনকে মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে আট কোটি মানুষের একটি নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে... আর তাও যখন রাজ্যের ৭৩ শতাংশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।' তেজস্বী বলেন, এবারের ভোটে বেকারত্ব, পরিযায়ী শ্রমিক, দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলার মতো বিষয়গুলিকেই ইস্যু করবে বিরোধী জোট। সেই সঙ্গে বিহারের বেহাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা,শিল্প, সেচ ব্যবস্থা, কৃষকদের বঞ্চনার মতো বিষয়গুলিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে মহাজোট।