অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষমতা তাক লাগিয়ে গিয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। এবার আরও শক্তি বাড়তে চলেছে। প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের সভায়, সেনাবাহিনীকে সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, সাঁজোয়া পুনরুদ্ধার যান-সহ একাধিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার জন্য খরচ হবে ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকা। আর তা এলে যে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের সভা হয়েছে।সেখানে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য 'বাই(ইন্ডিয়ান-আইডিডিএম)' অধীনে সমস্ত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এরমধ্যে যেমন রয়েছে স্থল সেনার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, তেমনই নৌবাহিনীর জন্য মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল, সুপার র্যাপিড গান মাউন্ট এবং সাবমার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল-সহ থাকছে সব বিধ্বংসী অস্ত্র।
আরও পড়ুন-৫০০ শতাংশ মার্কিন শুল্কের খাঁড়ায় ভয় কি আদৌ পাচ্ছে ভারত? কী বললেন জয়শঙ্কর?
অন্যদিকে, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানকে রীতিমতো কুপোকাত করেছিল ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ। মাঝ আকাশেই ধুলিস্যাৎ করেছিল পাকিস্তানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র-বিমান। এবার সেই আকাশের মন মজেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের। প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল সফরের আগে অপ্রতিরোধ্য এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র কেনায় আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে দেশটির তরফে।১৭তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ৫ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো সফরে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সফরের আগে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ব্রাজিলের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে।
আরও পড়ুন-৫০০ শতাংশ মার্কিন শুল্কের খাঁড়ায় ভয় কি আদৌ পাচ্ছে ভারত? কী বললেন জয়শঙ্কর?
বিদেশসচিব পি. কুমারান বলেন, 'এই সফরে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ উৎপাদন ও প্রশিক্ষণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ও ব্রাজিলের আধিকারিকরা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। ব্রাজিল আমাদের কমিউনিকেশন সিস্টেম, অফশোর টহল জাহাজ, স্করপিন সাবমেরিন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও গরুড় বন্দুকের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।' ভারত ব্রাজিলের সঙ্গে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব ক্রমাগত সম্প্রসারণ করছে। এমকেইউ এবং এসএমপিপি-এর মতো ভারতীয় সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই ব্রাজিলীয় সেনাবাহিনীকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে সহযোগিতা ছাড়াও ভারত এবং ব্রাজিল জি২০ স্যাটেলাইট মিশনেও একসঙ্গে কাজ করছে। টরাস আরমাস এবং সিবিসি (কম্পানহিয়া ব্রাসিলিরা ডি কার্তুচোস)-এর মতো ব্রাজিলিয়ান প্রতিরক্ষা জায়ান্টরা এখন ভারতে বিনিয়োগ করছে এবং এখানে অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করছে। এই সম্পর্ক উভয় দেশকে তাদের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে।