রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আর সেই প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে নাচা গানার অনুষ্ঠান বলে খোঁচা দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আর রাহুলের এই মন্তব্যে বেজায় চটেছে বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কংগ্রেস বার বার হিন্দুদের অপমান করছে।
সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধী এই প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে যে অনুষ্ঠান হয়েছিল তাকে ঘিরেই প্রশ্ন তুলে দিলেন। তাঁর মতে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণি থেকে সেখানে কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। সবটাই ছিলেন এলিট শ্রেণির প্রতিনিধিরা।
রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, বহু সেলিব্রিটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অমিতাভ বচ্চন, আদানি, আম্বানি সকলেই আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু একজন শ্রমিকও সেখানে আমন্ত্রণ পাননি। কোনও কৃষক বা শ্রমিককে কি দেখতে পেয়েছিলেন? নাচা গানা চল রহা থা।
এদিকে রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে বিজেপি নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার দাবি রাহুল গান্ধী হিন্দুদের অপমান করছেন। তিনি অন্য ধর্ম সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করার সাহস কী পাবেন?
এদিকে কংগ্রেসের এমপি মানিকাম টেগোর বলেন, আমরা সকলেই জানি যে অযোধ্য়ার মানুষরা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। আর দেশের ধনীতম মানুষরা অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে বসে ছিলেন। রাহুল গান্ধী সেই কথাটাই বলতে চেয়েছেন। সেদিন রামপুজোর জন্য সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারেননি অথচ সেখানে দেশের ধনীতম ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পেরেছিলেন।
২২ জানুয়ারি। রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরের উপর বিমান থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়েছিল সেদিন। আর এই মন্দিরের পেছনে যে টিমের অবদান সবথেকে বেশি সেই টিমের মাথায় ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মোদী। .
বিগ্রহের পায়ে ফুল দেন মোদী। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারিত হয়। তিনি সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন। মিলিটারি হেলিকপ্টার ফুলের পাপড়ি ছড়ায় রামমন্দিরের উপরে। মন্দির প্রাঙ্গনে সানাই বাজতে থাকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে ভেসে যান মোদী। তিনি বলেছিলেন, আর তাঁবুতে নয়, আমাদের রামলালার জন্য় মন্দির তৈরি হয়েছে।
পরনে ক্রিম রঙের কুর্তা পাজামা। একটা ঝুঁড়ি থেকে ফুলের পাপড়ি নিয়ে তিনি ছড়িয়ে দেন শ্রমিকদের মাথায়। মন্দির নির্মাণের পেছনে যে টিম ছিলেন তাঁদের দিকে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মোদী।
আপনাদের শ্রমেই তৈরি হয়েছে রামমন্দির। ফুলের পাপড়ি দিয়ে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।