শ্রীশৈলম লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানাল সুড়ঙ্গে আটকা পড়া আট শ্রমিকের উদ্ধার অভিযানের পঞ্চম দিনেও কোনও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
আটকে পড়া ৮ জনকে উদ্ধারে কতদূর এগোল NDRF?
শ্রীশৈলমে গত ২২ ফেব্রুয়ারির ধ্বসের পর আজ পঞ্চম দিন। তবে উদ্ধার অভিযানে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকা পড়া আট শ্রমিকের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। তবে এরই মাঝে এক ইতিবাচক খবর সামনে এসেছে। রিপোর্টে দাবি করা হল, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ মঙ্গলবার ধ্বসস্থলের ছাদের শেষ বিন্দুতে পৌঁছে গিয়েছে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। গত চার দিন ধরে জমে থাকা জল, মাটি এবং ধ্বংসাবশেষ সরাতে গিয়ে উদ্ধারকারী দলকে বেশ বেগ পেয়েছে। এই আবহে ধ্বসস্থলের শেষ ৪০-৫০ মিটার অংশ পার হতে বেশ কষ্ট করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। (আরও পড়ুন: কলকাতায় শুরু হবে রান্নার গ্যাসের পাইপ বসানোর কাজ, কোথায় বসবে প্রথম লাইন?)
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে শ্রীশৈলম লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানাল সুড়ঙ্গের একটি অংশে ধস নামে। তাতে অধিকাংশ শ্রমিক বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আটকে পড়েন ৮ জন। সুড়ঙ্গে আটকা পড়া ব্যক্তিদের পরিচয় হল - উত্তরপ্রদেশের মনোজ কুমার এবং শ্রীনিবাস, সানি সিংহ (জম্মু ও কাশ্মীর), গুরপ্রীত সিংহ (পঞ্জাব) এবং ঝাড়খণ্ডের সন্দীপ সাহু, জেগতা ক্সেস, সন্তোষ সাহু এবং অনুজ সাহু। এই আটজনের মধ্যে দু'জন ইঞ্জিনিয়ার, দু'জন অপারেটর এবং চারজন শ্রমিক। ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ এবং জাতীয় ভৌগোলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন। ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা দলের সদস্যরাও সোমবার থেকে অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। (আরও পডুন: এক ধাক্কায় রুপোর দাম কমল ৮০০ টাকা, আজ কলকাতায় সোনা বিকোচ্ছে কততে?)
দুর্ঘটনাস্থলের কাছে প্রচুর পরিমাণ কাদা বেড়ে যাওয়ায় খনন কাজে সমস্যা হচ্ছে। তবে ফের টানেলে ঢোকার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে সম্প্রতি একজন অস্ট্রেলিয়ার সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার বলেন, ‘পুরো এলাকাটি অস্থির বলে মনে হচ্ছে। গভীর খনন চালিয়ে যাওয়া খুব বিপজ্জনক হতে পারে। প্রতি মিনিটে প্রায় ৩,২০০ লিটার জল সুড়ঙ্গে প্রবেশ করছে। তার ফলে জল প্রচুর পরিমাণ বালি, পাথর এবং ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে মিশে আরও কাদা তৈরি করছে। তবে জল উদ্বেগের কারণ নয়। কারণ সুড়ঙ্গ থেকে জল বের করা হচ্ছে।’ (আরও পড়ুন: কুম্ভের শেষ শাহিস্নানে উপচে পড়ল ভিড়! অফিসে বসে নজরদারি যোগীর,মোতায়েন কত পুলিশ?)
এদিকে তেলঙ্গানার মন্ত্রী জুপল্লি কৃষ্ণ রাও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন যে আটকে পড়া শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। অপরদিকে তেলঙ্গনার অপর এক মন্ত্রী উত্তম কুমার রেড্ডি এই উদ্ধার অভিযানকে ‘সবচেয়ে কঠিন’ বলে অভিহিত করেছেন কারণ কারণ সুড়ঙ্গের শুধুমাত্র একটি প্রবেশদ্বার এবং বেরোনোর জায়গা। এদিকে তিনি দাবি করেন, সুড়ঙ্গে পলি মাটি এবং জলের প্রবাহের কারণে উদ্ধারকারীদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।