ভারতীয় ফুটবল দলের অবস্থা যেমন, তেমনই ভারতীয় ফুটবলেরও সামগ্রিক অবস্থা। আইএসএল হবে কিনা কোনও নিশ্চয়তা নেই, আদৌ ভারত এশিয়ান কাপে খেলবে কিনা তাও কেউ বলতে পারছে না। ভারতীয় দলের কোচের পদেও ম্যানোলো মার্কুয়েজ থাকবেন কিনা, সেই নিশ্চয়তাও নেই। এমন একজনকে কোচ করে এনেছে ফেডারেশন, যিনি ১ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কার্যত পদ ছেড়ে পালাতে পারলে বাঁচেন। গতবার কোচের পদ থেকে অপসারণের পর ইগর স্টিম্যাচ একহাত নিয়েছিল ফেডারেশন কর্তাদের, এবার সেই পথেই হাঁটলেন ২০২২ সালের এআইএফএফ নির্বাচনে কল্যাণ চৌবের কাছে হারা ভাইচুং ভুটিয়া।
তিনি ফেডারেশন সভাপতিকে নিশানা করে বলছেন, ‘কল্যাণ চৌবে পদত্যাগ করলে ভারতীয় ফুটবলের কতটা উন্নতি হবে জানি না, তবে এর থেকে খারাপ যে আর হবে না সেটা বলতে পারি। ওকে যারা সমর্থন করছিল, আমি আগেই তাঁদের বলেছিলাম যে ওরা ভুল লোককে সমর্থন করছে। এখন তাঁরাই বলছে, ভাইচুং ঠিক বলেছিল। এআইএফএফ এখন সার্কাসে পরিণত হয়েছে। জোকারদের যদি ওই পজিশনে বসাও, তাহলে তো সেটা সার্কাসেই পরিণত হবে ’।
গতবছর যখন ম্যানোলো মার্কুয়েজকে কোচ হিসেবে আনা হয়েছিল, তখন নাকি এআইএফএফের টেকনিক্যাল কমিটিকে এব্যাপারে জানানোই হয়নি। গতবার এই কমিটি থেকে পদত্যাগ করে এই অভিযোগই করেছিলেন ভাইচুং। আবারও সেকথাই বললেন তিনি। ভাইচুং বলছেন, ‘ম্যানোলো ভালো কোচ নিশ্চই, কিন্তু আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হলে আমরা ওকে বলতাম যে কোনও একটা দলে কোচিং করাতে। ভারত ও এফসি গোয়ার একসঙ্গে না কাজ করতে। কিন্তু এআইএফএফ খুশি ছিল, ওদের টাকা বেঁচে যাওয়ায়। সুব্রত পাল ভালো গোলকিপার, ওর দক্ষতা কাজে লাগানো উচিত ছিল গোলকিপারদের উন্নতির জন্য। সেখানে ওকে অন্য পদে বসানো হল। এবার সুব্রতর কোন পরামর্শ মার্কুয়েজের মতো কোচ নেবে? ’।
পাল্টা ভাইচুংয়ের বিরুদ্ধেও এআইএফএফের সভাপতির অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কল্যাণ চৌবে বলেছেন, ‘ভাইচুং ভুটিয়া ২০২২ নির্বাচনে হারার পর থেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে এআইএফএফের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছেন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। ওনার সঙ্গে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত। কিন্তু উনি নিজেই অধিকাংশ কার্যকরি সমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্তের শুধুই বিরোধিতা করতে থাকেন ’।
কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে ভাইচুংয়ের কাছে প্রশ্ন এসেছিল, তিনি কি ফেডারেশনের সভাপতি পদে লড়বেন? ভাইচুং বলছেন, ‘যদি মানুষ মনে করে, তাহলে আমি রাজি। কিন্তু সরকার যদি হস্তক্ষেপ করে বিষয়টায়, তাহলে আমি নির্বাচনে দাঁড়াব না। প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের ক্রীড়া প্রশাসক হওয়া খেলার জন্য ভালো,যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সব ক্ষেত্রে নয়, সেটাও বোঝা যায়। যদি ভারতীয় ফুটবল সংস্থা সত্যিই ৩৩জন ওসিআই কোটার ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে থাকে, তাহলে সেটার প্রমাণ দিক ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।