ফুটবল কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামকে রাজা চার্লস তৃতীয় আনুষ্ঠানিকভাবে নাইটহুড প্রদান করেছেন, যা খেলাধুলা ও দাতব্য কাজের প্রতি তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ উপাধি পাওয়ার পর এখন তিনি ‘স্যার ডেভিড বেকহ্যাম’ নামে পরিচিত। বেকহ্যামকে সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ক্লাব জুড়ে বিস্তৃত ছিল। তিনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান, প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) এবং এলএ গ্যালাক্সির হয়ে খেলেছেন এবং প্রতিটি ক্লাবেই অসাধারণ পারফরম্যান্স ও সফলতার ছাপ রেখেছেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বেকহ্যাম ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৭টি গোল করেছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ক্লাব পর্যায়ে তার ক্যারিয়ার ছিল অত্যন্ত সফল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে তিনি ২৬৫টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৬২টি গোল করেন। এই ক্লাবে তিনি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের স্বর্ণযুগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
পরে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন, যেখানে তিনি ১১৬টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৩টি গোল করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এলএ গ্যালাক্সিতে যান এবং সেখানে ৯৮টি ম্যাচে ১৮টি গোল করেন।
বেকহ্যাম এসি মিলানের হয়েও ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ২টি গোল করেছেন। তার খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ অধ্যায় ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে।
তিনি ২০০৫ সাল থেকে ইউনিসেফ-এর গুডউইল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি বেকহ্যাম ভারত সফর করেছিলেন এবং ১৫ নভেম্বর মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি সরাসরি উপভোগ করেন। তিনি সেই সময়ে বিরাট কোহলি ও সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।