আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ- খুন। তবে পরের দিন রাতেই দেখা গিয়েছিল চিকিৎসকের দেহ সৎকার করার জন্য চূড়ান্ত তৎপরতা। তবে এবার সেই সংক্রান্ত বিস্ফোরক টুইট করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লিখেছেন, এটা সবারই জানা যে পিজিটি ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ও তাঁর দেহ সৎকারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত তৎপরতা দেখানো হয়েছিল। পুলিশ শ্মশানে গোটা পরিস্থিতিটা নজরদারি করছিল। আর সেখানে একেবারে অস্বাভাবিক একটা তাড়াহুড়ো ছিল। দ্রুত যাতে দেহটি দাহ করার যা তার জন্যই ছিল এত তাড়াহুড়ো। পানিহাটির এমএলএ নির্মল ঘোষ নিজে হাজির ছিলেন শ্মশানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। এমনকী ওই শ্মশানটি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় রয়েছে। তবে এই যে তাড়াহুড়ো করে দাহ করার প্রক্রিয়া সেটা পরিচালনা করেছেন অভিষেক গুপ্তা( আইপিএস) ডিসি, নর্থ ডিভিশন, কলকাতা পুলিশের দুই আইসি। ডিজিপি গোটা অপারেশনটিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সিবিআই গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। কারা এর পেছনে রয়েছে সেটা সামনে আসবে। কেন এই আড়াল করার প্রয়োজন ছিল কেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা এভাবে নজরদারি চালালেন সেটা সামনে আসবে। লিখেছেন শুভেন্দু।
এদিকে শুভেন্দু এর আগেও বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছিলেন।
তিনি এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ভিসেরা রিপোর্ট পালটে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ যে সিজার লিস্ট তৈরি করেছে, সেগুলি আসল জিনিসপত্র নয়। আসল জিনিসপত্রে রক্তের ছোপ লেগেছিল। কিন্তু সেগুলি পালটে দেওয়া হয়েছে। বেসিনও পালটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
সেইসঙ্গে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন যে তরুণী চিকিৎসককে অন্যত্র খুন করা হয়েছিল। তারপর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুমে রেখে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। যদিও শুভেন্দুর সেইসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে এসবের মধ্য়েই মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী অংশ নেবেন বলে খবর। তবে উদ্যোক্তারা আগেই জানিয়েছিলেন এটা অরাজনৈতিক কর্মসূচি। তাদের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। তবে সম্ভবত শুভেন্দু অধিকারী পতাকা ছাড়াই যেতে পারেন। কিন্তু কতটা সাড়া তাতে পড়বে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর কোন রাজনৈতিক দলের লোকজন অরাজনৈতিকভাবে এতে অংশ নেন সেটাও দেখার।