দিঘায় কেন জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টার বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সাংবাদিক বৈঠকে তা ফাঁস করলেন তাঁর মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। এক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির বানাতে চেয়ে তাঁর পরামর্শ চেয়েছিলেন মমতা। তার পর কী ঘটেছিল তাও জানান তিনি।
শুভেন্দুবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একবার পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। তখন পুরীর মন্দিরের পূজারীরা তাঁর হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেখান থেকে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বলেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির বানাতে চান তিনি। দিঘায় সৈকতের ঠিক পাশে একটা ছোট জগন্নাথ মন্দির আছে। সেটিকে বড় করে করার কথা জানান তিনি। কিন্তু আমি তাঁকে বলি ওই মন্দির সৈকত থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে। এই এলাকা সংরক্ষিত। ফলে এখানে কোনও স্থায়ী নির্মাণ করা যাবে না। তার পর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করে রাস্তার ওপাশে মন্দির করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুবাবু বলেন, আমি তাঁকে বলেছিলাম, সরকারি টাকায় ধর্মস্থান নির্মাণ করা যায় না। কোনও ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণ করতে। ওটা মন্দির নয়, ওটা ভাস্কর্য।
দিঘায় জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টার তৈরি করলেও পুরীর মন্দিরের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল বলে বারবার জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অনুসারে, পুরীর মন্দিরকে চ্যালেঞ্জ করেই দিঘার মন্দির বানিয়েছেন মমতা।