Team India's tour of Bangladesh may be postponed: আগামী অগস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভারতের বাংলাদেশ সফর বাতিল হতে পারে! এমনটাই জানিয়েছে বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড)-এর এক সূত্র। গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো না থাকায় ভারত সরকারের তরফ থেকে বিসিসিআই-কে বাংলাদেশ সফর না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই সফরে ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ১৭ অগস্ট থেকে এবং এরপর ৩টি টি২০ ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ২৬ অগস্ট থেকে। এ প্রসঙ্গে ANI-কে বিসিসিআই-এর এক সূত্র বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সফর বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, কারণ সরকার সফরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এখনও পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। চূড়ান্ত ঘোষণা খুব তাড়াতাড়ি করা হবে।’
ভারত সবশেষ বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল ২০২৪ সালে, যেখানে তারা ৩-০ ব্যবধানে টি২০ সিরিজ এবং ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিখুঁত সাফল্য পেয়েছিল। তবে এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ধর্মীয় ইস্যু ঘিরে কূটনৈতিক টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে ও এর ফলে নানা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার খিলখেত এলাকায় দুর্গা মন্দির ভাঙচুর ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে ভারত তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি কিছু উগ্রবাদী ঢাকার খিলখেতে দুর্গা মন্দির ভাঙার জন্য উস্কানি দিচ্ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরাপত্তা না দিয়ে একে বেআইনি জমির ব্যবহার বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং মন্দির ভাঙার সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে মূর্তির ক্ষতিও হয়েছে। আমরা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে হতাশ। হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের সম্পত্তি ও উপাসনালয় রক্ষা করার দায়িত্ব বাংলাদেশের সরকারের।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এরপরে রয়েছে বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের নানা কারণ। ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত সরকার বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক (RMG) সহ বিভিন্ন পণ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত বন্দরগুলোতে—যেমন: অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, ও পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি ও চ্যাংরাবান্ধা। এখন দেখার এই বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়।