এক দিন আগেই জসপ্রীত বুমরাহর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন, যিনি ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের সম্প্রচারকারী সংস্থার হয়ে কাজ করছেন,তার কাছে সুনীল গাভাসকর অনুরোধ করেছিলেন যাতে ভারতের পেস অ্যাটাকের এই তারকাকে সঞ্জনা পাঁচ টেস্টেই খেলার জন্য অনুরোধ করেন। সেই মতো সঞ্জনাও বুমরাহকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন পূজারা এবং গাভাসকরের অনুরোধের কথা। যদিও সেই নিয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা দেননি বুমরাহ। আসলে টিম ইন্ডিয়ার পেস বোলিংয়ের অবস্থা এতটাই খারাপ যে বুমরাহ যদি না খেলেন, তাহলে আদৌই এই পেস অ্যাটাক নিয়ে ভারত একটা ম্যাচও ইংল্যান্ডে জিততে পারবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
যদিও ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর কিন্তু বুমরাহকে পাঁচ টেস্টে খেলানোর একদমই পক্ষপাতি নন। আসলে প্রথম টেস্টে বুমরাহ প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিল, যেখানে বাকি পেসাররা ২৮৩ রান দিয়ে বাকি পাঁচ উইকেট নেন। এই পার্থক্যের জেরেই বুমরাহ বাকি সব টেস্টেই খেলুক, চেয়েছিলেন গাভাসকর। যদিও সেই আবেদন কার্যত খারিজ করে দিলেন গৌতম গম্ভীর।
টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ বলছেন, ‘আমাদের কাছে বুমরাহর ওয়ার্কলোড অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামনে অনেক ক্রিকেট রয়েছে। আর আমরা জানি ওর দলে থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। তাই এই সফরে আসার আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েচিল যে ও তিনটি টেস্ট ম্যাচে খেলবে। এখন দেখতে হবে ওর শরীর কতটা সায় দেয়। কিন্তু আমরা এখনও ঠিক করিনি যে পরের কোন দুটি টেস্টে ও খেলবে ’। জসপ্রীত বুমরাহ হেডিংলে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আর কোনও উইকেটই পাননি। বোঝাই যাচ্ছিল, তাঁর বোলিং ইংরেজ ব্যাটাররা একটু বুঝে শুনেই খেলছিলেন। যাতে বাকি বোলারদের তাঁরা অ্যাটাক করতে পারেন।
প্রসঙ্গত ম্যাচ হারের পর গম্ভীর সাফাই দিয়ে বলছেন, ‘ একটা সময় ছিল যখন আমরা ৪০ টেস্টে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বোলারদের নিয়ে খেলতাম। ওডিআই, টি২০তে অভিজ্ঞতার অতটা প্রভাব না থাকলেও সেনা দেশগুলোয় টেস্টের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার দরকার লাগে, এখনও ওরা সবে শুরু করছে। আমরা এমন একটা লাইন আপ বানিয়ে যেতে চাই, যেটা আগামী দিনে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে ভারতকে সাহায্য করবে’।