কুমার সাঙ্গাকারার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়ে এবছর ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স লিগ অভিযান শুরু করেন সচিন তেন্ডুলকররা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইন্ডিয়া মাস্টার্স দল কার্যত একতরফাভাবে উড়িয়ে দেয় ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড মাস্টার্সকে। এবার তৃতীয় ম্যাচে জ্যাক কালিসের দক্ষিণ আফ্রিকাকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেয় ভারতীয় দল। সেই সুবাদে চলতি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করেন সচিন তেন্ডুলকররা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শনিবার সাউথ আফ্রিকা মাস্টার্সের বিরুদ্ধে পরপর ৩ বলে ৩টি উইকেট দখল করেন রাহুল শর্মা এবং সেই সুবাদে ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। এক্ষেত্রে রাহুলের ৩ বলে সাজঘরে ফেরেন হাশিম আমলা, জ্যাক কালিস ও জ্যাক রুডল্ফ। যুবরাজ সিংও পরপর দু'বলে ২টি উইকেট নিয়ে একসময় ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে তিনি শেষমেশ হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে পারেননি।
শনিবার ভদোদরার বিসিএ স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান ভারতের ক্যাপ্টেন সচিন তেন্ডুলকর। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। তারা শেষমেশ ১৩.৫ ওভারে মাত্র ৮৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৮ রান করেন ওপেনার হেনরি ডেভিডস। ২৮ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৫ বলে ২১ রান করেন উইকেটকিপার ডেন ভিলাস। তিনি ৩টি চার মারেন। আমলা ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। খাতা খুলতে পারেননি কালিস, রুডল্ফ, ফিল্যান্ডার ও ক্রুগার।
দুরন্ত হ্যাটট্রিক রাহুল শর্মার, দাপুটে বোলিং যুবরাজের
ইন্ডিয়া মাস্টার্সের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন রাহুল শর্মা। তিনি পঞ্চম ওভারের প্রথম ৩টি বলে (৪.১, ৪.২ ও ৪.৩ ওভারে) পরপর সাজঘরে ফেরান হাশিম আমলা, জ্যাক কালিস ও জ্যাক রুডল্ফকে। যুবরাজ সিং ২ ওভারে ১২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। তিনি ১১তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে (১০.৪ ও ১০.৫ ওভারে) পরপর সাজঘরে ফেরান ফিল্যান্ডার ও ক্রুগারকে। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন পবন নেগি ও স্টুয়ার্ট বিনি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া মাস্টার্স মাত্র ১১ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৮৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৫৪ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে ইন্ডিয়া মাস্টার্স। ৩৪ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন আম্বাতি রায়াড়ু। তিনি ৭টি চার মারেন। সচিন তেন্ডুলকর ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮ বলে ৬ রান করে আউট হন।
১২ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইরফান পাঠান। তিনি ৩টি চার মারেন। ১২ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন পবন নেগি। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ম্যাচের সেরা হন রাহুল শর্মা।