2 মিনিটে পড়ুন Updated: 03 May 2025, 07:56 AM ISTSanjib Halder
আইপিএল ২০২৫-এ গুজরাট টাইটান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে একটা সময়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। গুজরাট অধিনায়ক শুভমন গিল মাঠে থাকা আম্পায়ার কান্নুর স্বরূপানন্দ ও বিরেন্দ্র শর্মার ওপর রেগে গিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেখে রেগে লাল শুভমন গিল (ছবি-এক্স)
Shubman Gill got angry: আইপিএল ২০২৫-এ গুজরাট টাইটান্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে একটা সময়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে গুজরাট অধিনায়ক শুভমন গিল মাঠে থাকা আম্পায়ার কান্নুর স্বরূপানন্দ ও বিরেন্দ্র শর্মার ওপর রেগে গিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন। আসলে ‘আম্পায়ার্স কল’ সংক্রান্ত এক সিদ্ধান্ত ঘিরে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পরে ম্যাচ শেষে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমন গিল।
শুক্রবার আমদাবাদে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে একটি DRS সিদ্ধান্ত ঘিরে আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা নিয়ে মুখ খোলেন শুভমন গিল। হায়দরাবাদের ১৪তম ওভারে, অভিষেক শর্মার পায়ে লাগে বল, এবং গিলসহ গোটা GT দল এলবিডব্লিউ’র জন্য জোরালো আবেদন জানাতে থাকে। মাঠের আম্পায়ার তেমন আগ্রহ দেখাননি, ফলে গুজরাট সিদ্ধান্ত রিভিউ সিস্টেম (DRS) নেয়। রিভিউতে দেখা যায় না বলটি কোথায় পিচ করেছে—শুধুমাত্র ইমপ্যাক্ট ও উইকেট শো করা হয়।
এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি গিল। তিনি উগ্র ভঙ্গিতে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা এগিয়ে এসে গিলকে শান্ত করেন। এরপর পরিস্থিতি ঠান্ডা হয় এবং খেলা আবার শুরু হয়।
ম্যাচ শেষে পোস্ট-ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে গিল বলেন, ‘আমার আর আম্পায়ারদের মধ্যে কিছুটা আলোচনা হয়েছিল। কখনও কখনও আবেগ জড়িয়ে পড়ে, আর আপনি যখন ১১০ শতাংশ দিয়ে খেলেন, তখন কিছু আবেগ দেখানো স্বাভাবিক।’ গিলের এই উত্তপ্ত মুহূর্ত ছাড়া বাকি ম্যাচে গুজরাটের ছিল একতরফা আধিপত্য। তাদের টপ অর্ডার ব্যাটারদের তাণ্ডবে তারা ২০ ওভারে তুলেছিল বিশাল ২২৪/৬ রান।
শুভমন গিল, সাই সুদর্শন ও জোস বাটলার একে অপরের সঙ্গে স্ট্রাইক রোটেট করতে এবং প্রতিটি বল কাজে লাগাতে সচেষ্ট ছিলেন। এর ফলে GT মাত্র ২২টি ডট বল খেলেছে, যা আইপিএলের ইতিহাসে যা অন্যতম কম।
ম্যাচ শেষে গিল বলেন, ‘আমরা আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা করিনি (২০ ওভারে মাত্র ২২টি ডট বল খেলা নিয়ে)। শুধু এই আলোচনা হয়েছিল—আগের মতোই খেলব। ব্ল্যাক সয়েল পিচে ছক্কা মারা সহজ নয়, কিন্তু আমি, সাই আর জোস জানি কীভাবে রান তোলা যায়।’ গিল আরও বলেন, ‘আমরা কখনও এ ধরনের আলোচনা করিনি যে আমাদের মধ্যে একজনকে উইকেটে থাকতে হবে। আমরা সবাই রান করার জন্য উদগ্রীব এবং দলের জন্য যা সেরা, সেটাই করার চেষ্টা করি।’
এই ম্যাচে গুজরাট নিজেদের ঘরের মাঠে ২০০-র বেশি রান ডিফেন্ড করার অপরাজেয় রেকর্ড ধরে রাখে। শুরুতেই সুদর্শনের (৪৮) আগ্রাসী ইনিংস, গিলের ৭৬ রানের দুরন্ত ব্যাটিং ও বাটলারের দুর্দান্ত ৬৪(৩৭) রানে গড়ে ওঠে শক্ত ভিত। SRH ২২৫ রানের লক্ষ্যে নেমে একপ্রকার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। গুজরাট বোলিং আক্রমণে ধারাবাহিক উইকেট তুলে নিয়ে হায়দরাবাদকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। সাহসী মনোভাব নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করলেও নিয়মিত উইকেট হারানোয় শেষ পর্যন্ত ৩৮ রানে হেরে বসে SRH এবং প্লে-অফে ওঠার আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়।