শ্রেয়স আইয়ারের কাছে হার মানতে হয়েছিল আইপিএলে। এবার টি-টোয়েন্টি মুম্বই লিগেও শ্রেয়সের দল সোবা মুম্বই ফ্যালকনসের কাছে চার উইকেটে হেরে গেলেন সূর্যকুমার যাদব। শুধু তাই নয়, আজ ব্যাটও চলেনি ট্রাম্ফ নাইটস মুম্বই নর্থ-ইস্ট তথা ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক স্কাইয়ের। ২০২৫ সালের আইপিএলে তাঁকে ২৫ রানের নীচে আটকাতে পারেনি কোনও দলই। প্লে-অফ পর্যায়ের দুটি ইনিংস ধরে মোট ১৬টি ম্যাচে তাঁর সর্বনিম্ন স্কোর ছিল অপরাজিত ২৭ রান (যে ইনিংসটা নয় বলে খেলেছিলেন)। তারপর মুম্বই লিগের প্রথম দুটি ম্যাচেও রান পান। সেখান থেকে আজ ফ্যালকনসের বিরুদ্ধে অনামী কার্তিক মিশ্রের বলে আউট হয়ে যান। তিন বলে করেন এক রান। একইভাবে বড় রান পাননি শ্রেয়স। ১৯ বলে ১৩ রানের ‘টেস্ট’ ইনিংস খেলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ভারতীয় তারকা।
শ্রেয়াংশের মারকুটে ইনিংসে কিছুটা লড়াকু রান
দুই তারকা ক্রিকেটার ব্যর্থ হলেও শুক্রবার টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫৩ বলে ৫৭ রান করেন নাইটসের সিদ্ধার্থ আধ্যাথরাও। অপরপ্রান্তে লাগাতার উইকেট পড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁকে ঢিমেগতিতে খেলতে হয়। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল যে ১২০ রানও তুলতে পারবে না নাইটস। সেখান থেকে শ্রেয়াংশ শেড়গের ২১ বলে অপরাজিত ৪৯ রান এবং মাকারান্দ গিরেশ পাটিলের ছয় বলে ১৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে।
২৫ বলে ৪২ রান করেন KKR-র তরুণ
সেই রান তাড়া করতে নেমে অপরপ্রান্তে সঙ্গীদের হারালেও ফ্যালকনসের হয়ে দারুণ শুরু করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) তরুণ অংকৃষ রঘুবংশী। আইপিএলের ছন্দ ধরে রেখে ২৫ বলে ৪২ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন। শ্রেয়সের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৩৩ বলে ৫৪ রান যোগ করেন। কিন্তু রঘুবংশী আউট হওয়ার পরেই চাপে পড়ে যায় ফ্যালকনস।
আরও পড়ুন: ‘রান-আউট’ থেকে ওয়াইড- শেষ বলে চরম নাটক, ১ উইকেটে জিতে ODI-তে ইতিহাস নেপালের
চাপ সামলে জয় ছিনিয়ে নিল ফ্যালকনস
পরপর দু'বলে (দশম ওভারের শেষ বল এবং একাদশ ওভারের প্রথম বল) দু'উইকেট হারিয়ে ফেলেন শ্রেয়সরা। প্রথমে আউট হন ফ্যালকনসের অধিনায়ক। পরের বলেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান হর্ষ আঘব। যদিও তারপর ফ্যালকনসের ঢাল হয়ে দাঁড়ান বিনয়র ভয়ের এবং আকাশ পার্কার। তাঁরা দু'জনে মিলে পাঁচ উইকেটে ৭৫ রান থেকে ফ্যালকনসকে পাঁচ উইকেটে ১৩১ রানে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: বিরাটের সঙ্গে IPL ‘ট্রফি ধরে’ বাবা! ভিডিয়ো দেখে কাঁদল সবাই, ছেলের জয়ে চোখে জল মায়ের
তারপর ২১ বলে ৩৩ রান করে যখন বিনায়ক আউট হয়ে যান, তখন জয়ের জন্য ১৪ বলে ১৫ রান দরকার ছিল। কোনওরকম বিপদ ছাড়াই সেই রানটা তুলে ফেলে ফ্যালকনস। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বিনায়ক। যিনি বল হাতে তিন ওভারে ২১ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।