বলিউডের নামী নায়কের স্ত্রী হওয়া মোটেই সহজ নয়। বিশেষত, নিজের ফ্লপ ফিল্মি কেরিয়ার অনেক সময়ই দাম্পত্যের কাঁটা হতে পারে। কিন্তু টুইঙ্কল-অক্ষয়ের দাম্পত্যে ‘অভিমান’ দানা বাঁধেনি। বরং ভালোবাসায় বেঁধে থেকেছেন দুজনে। অক্ষয়ের নয়নের মণি টিনা (টুইঙ্কলের ডাকনাম)। বউয়ের ৫১তম জন্মদিনে আদুরে শুভেচ্ছা জানালেন খিলাড়ি কুমার।
অভিনেত্রী হিসাবে বলিউডে সাফল্য না পেলেও টুইঙ্কল বর্তমানে একজন সফল লেখিকা। ‘মিসেস ফানি বোনস’ নামে কলম লেখেন রাজেশ খান্না ও ডিম্পেল কাপাডিয়া কন্যা, তবে সেন্স অফ হিউমারের মামলায় বউকে টেক্কা দেন আক্কি। রবিবার ইনস্টাগ্রামে টুইঙ্কলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে একটি মজাদার ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অক্ষয় কুমার।
টুইঙ্কলকে আদুরে শুভেচ্ছা অক্ষয়ের
ভিডিয়োটি শুরুতে লেখা, ‘সবাই আমার স্ত্রীকে যা ভাবে…’, এরপরে দেখা গেছে টুইঙ্কল খান্না বাড়িতে একটি চেয়ারে আরাম করে বই হাতে বসে মনোরম আবহওয়া উপভোগ করছেন। চুলে হাত দিয়ে বিলি কাটছেন অক্ষয় ঘরণী, ফুরফুরে সেই পরিবেশে তাঁর সামনের টেবিলে সাজানো একটা জ্বলন্ত মোমবাতি, চায়ের কাপ এবং মুখশুদ্ধি হিসাবে এলাচ।
এরপর অক্ষয় ফাঁস করেন টুইঙ্কলের 'আসল রূপ'। টুইঙ্কলকে ড্রয়িং রুমে মনের আনন্দে নাচতে দেখা গেছে ওই ভিডিয়োয়। কালো টপ এবং সবুজ প্যান্টে মন খুলে নাচলেন টুইঙ্কল, ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘ও টিনা ও টিনা গান…’। পাঞ্জাবি সেই গানের অর্থ, টিনার মতো এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই!
জন্মদিনের শুভেচ্ছা শেয়ার করে অক্ষয় লিখেছেন, ‘টিনা তুমি শুধু কোনও একটা ম্যাচ নও; তুমিই আসল খেলা। আমি তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি - কীভাবে আমার পেট ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত হাসতে হয় (এবং আপনি প্রায় সর্বদা এটির কারণ), কীভাবে রেডিওতে প্রিয় গান বাজলে মন থেকে সেটা গাইতে হয় এবং কীভাবে নাচতে হয় কারণ আমি অনুভব করতে পারি। সত্যিই তোমার মতো কেউ নেই….’।
১৯৯৫ সালে ‘বারসাত’র মধ্যে দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় সুপারস্টার রাজেশ খান্নার বড় মেয়ের। তাঁর কয়েক বছর পরেই বিয়ে করে অভিনয় জগত থেকে দূরে সরে যান টুইঙ্কল। ২০০১ সালের ১৭ই জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েন খিলাড়ি কুমার ও তাঁর লেডি লাভ টুইঙ্কল। যদিও এই বিয়ের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল এক বছর আগের একটি ঘটনা। যা শুনলে চমকে উঠতে পারেন আপনি!
'কথি উইথ করণ’-এর মঞ্চে সেই ঘটনা ভাগ করে নিয়েছিলেন অক্ষয়। মেলা ছবি ফ্লপ না হলে নাকি টুইঙ্কলের সঙ্গে তাঁর বিয়েটাই হত না! প্রেমিকের বিয়ের প্রস্তাব বারবার নাকোচ করে দিয়েছিলেন টুইঙ্কল। এরপর 'মেলা'য় মন দেন অভিনেত্রী।
অক্ষয় গড়গড়িয়ে বলে চলেন, ‘টিনা ভীষণ কনফিডেন্ট ছিল মেলা হিট হবেই। আমাকে পালটা বলেছিল যদি এই ছবিটা না চলে তবেই আমি তোমাকে বিয়ে করব। সৌভাগ্যবশত মেলা চলেনি। আর ও আমাকে বিয়ে করে নেয়’। আসলে শর্ত রেখে নিজেই ফেঁসে গিয়েছিলেন টুইঙ্কল।
২০১৫ সালে টুইঙ্কল তার প্রথম নন-ফিকশন বই মিসেস ফানিবোনস প্রকাশ করেন। তাঁর দ্বিতীয় বই ছিল দ্য লেজেন্ড অফ লক্ষ্মী প্রসাদ, ছোট গল্পের সংকলন। নিয়েলসেন বুকস্ক্যান ইন্ডিয়া অনুসারে, টুইঙ্কলের তৃতীয় বই, পায়জামাস আর ফরগিভিং, তাঁকে ২০১৮ সালে ভারতে সর্বাধিক বিক্রিত লেখিকা বানিয়েছে। তার চতুর্থ বই 'ওয়েলকাম টু প্যারাডাইস' প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে।
২০২২ সালে, টুইঙ্কল লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ডস্মিথসে ফিকশন রাইটিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন টুইঙ্কল। ছেলে আরভ এবং মেয়ে নিতারাকে নিয়ে সুখী সংসার অক্ষয়-টিনার।
অক্ষয়ের পরবর্তী প্রোজেক্ট
অক্ষয়কে আগামিতে 'জলি এলএলবি থ্রি'তে দেখা যাবে, সঙ্গী আরশাদ ওয়ারসি ও হুমা কুরেশি। স্কাই ফোর্স এবং হাউসফুল ৫-এর মতো মাল্টিস্টারার প্রোজেক্টেও দেখা মিলবে আক্কির। তরুণ মনসুখানি পরিচালিত 'হাউসফুল ৫' মুক্তি পাবে ২০২৫ সালের ৬ জুন।