হোলি ২০২৫ আসতে আর হাতে গোনা দিন বাকি। তার আগে, ইতিমধ্যেই আবির কেনা নিশ্চয়ই শুরু হয়ে গিয়েছে? তবে বাজারে ভেষজের নাম করে ভেজাল আবির বিক্রিরও কমতি নেই! ফলে আবির কিনতে গিয়ে ঠকে না গিয়ে জেনে নিন কোন কোন উপায়ে ভেজাল ভেষজ আবির চেনা যায়। জানা যাক, খাঁটি আবির চেনার উপায়।
ভেজাল আবির চেনার উপায়:-
১) বিশেষজ্ঞদের মতে, পলাশ, গাঁদা আর অপরাজিতা থেকেই মূলত ভেষজ আবির তৈরি হয়। এটি খেয়াল রেখে ভেজাল ভেষজ আবির চিনে নিতে, আবির হাতে নিতে হবে। যদি আবিরে কোনও দানা না থাকে, তাহলে তা ভেষজ আবির। এটির গুঁড়ো মিহি হবে।
২) ভেজাল আবিরে তীব্র সুগন্ধী থাকে। আবির হাতে নিলেই বুঝতে পারবেন গন্ধ শুঁকে নিয়ে।
৩) নকল আবিরে ত্বকে চুলকানি হতে পারে। ফলে আবির কেনার আগে তা হাতে নিয়ে দেখলেই খাঁটি কিনা তা পরখ করে নিতে পারবেন।
৪) ভেষজ আবিরের রঙ ১০ থেকে ১৫ মিনিটে উঠে যায় ধুয়ে নিলে। তবে আবির যদি ভেষজ না হয়, তাহলে তা সহজে উঠে যাবে না। ১০ থেকে ১৫ মিনিট আবির হাতে রেখে তারপর তা জল দিয়ে ধুলেই বুঝতে পারবেন, আসল নাকি নকল।
৫) ছেঁড়া বা ফাটা প্যাকেজিংএর আবির কেনা থেকে বিরত থাকাই ভালো।
৬) আবিরের প্যাকেটে ভালে করে খেয়াল রাখতে হবে যে, রং কোন সংস্থার তা লেখা আছে কিনা। তা ছাড়াও রঙ তৈরিতে কী কী ব্যবহার করা হয়েছে, সেই তথ্যও লেখা আছে কি না প্যাকেটে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৭) আবিরের মধ্যে যদি চকচকে ধরনের কিছু দেখেন, তাহলে তা না কেনাই ভালো। বলা হয়, চকচকে কিছু রঙে থাকা মানে, এমনও হতে পারে যে তাতে সীসা মেশানো রয়েছে।
৮) আবির জলে গুলে দেখতে হবে। জলে যদি রঙ পুরো গুলে যায়, তাহলে তা খাঁটি ভেষজ আবির। আর তা যদি না হয়, তাহলে বুঝতে হবে আবির ভেজাল, ভেষজ বলে চালানো হচ্ছে।।
৯) যে থালায় আবির রাখছেন, সেটি জলে ধুয়ে নিলে যদি রঙ সঙ্গে সঙ্গে উঠে যায়, তাহলে সেই রঙ খাঁটি ভেষজ, তবে আবিরের রঙ যদি ভেষজ না হয়, তাহলে তা সহজে উঠতে চাইবে না।
১০) সাধারণত ভেষজ আবির নয়, এমন আবির খুবই খসখসে হয়। অনেক সময় ভেজাল আবির ত্বকে দিলেই চুলকানি বা ত্বক লাল হতে পারে।
বহু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, অনেক সময় পাথরের গুঁড়োও ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি হয়। পাঁচ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি হয়ে থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, কিছু আবিরের রঙ গায়ে দিলেই তা জ্বালা পোড়া মতো অনুভূতি হতে থাকে, কখনও সেই আবির মেখে রোদে বের হলে ত্বক পুড়েও যায়। এই ধরনের আবির থেকে দূরে থাকা ভালো।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।)