তেলাঙ্গানায় প্রধান বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতিকে বিজেপির সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নাম না করে দাদা কেটি রামা রাওয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কে কবিতা। সম্প্রতি বিআরএস-র নেতৃত্ব নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কলভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাওয়ের পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এখনও পর্যন্ত বিআরএস প্রধান রয়েছেন কেসিআর। কিন্তু তাঁর পরবর্তীতে দলের হাল কে ধরবেন, তা নিয়ে তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র এবং কন্যার মধ্যে কার্যত ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। (আরও পড়ুন: আমেরিকার মতো 'ভান' নয়, ভারতের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে বড় বার্তা পানামার)
আরও পড়ুন: পাক জঙ্গিদের মৃত্যুতে সমবেদনা লাতিন আমেরিকার দেশের, সেখানে দাঁড়িয়ে কী বললেন শশী
এই আবহে কবিতা অভিযোগ করেছেন, বাবা তথা তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা তাঁর একটি ব্যক্তিগত চিঠি দলের মধ্যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস করে দিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বলেন, 'দুই সপ্তাহ আগে, আমি কেসিআরজিকে একটি চিঠি লিখেছিলাম। আমি আগেও চিঠির মাধ্যমে তাঁর কাছে আমার মতামত প্রকাশ করেছি। আমি সম্প্রতি বলেছিলাম যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার লেখা চিঠিটি দলের অন্দরে ফাঁস হয়ে গিয়েছে।' এরপরেই দাদাকে নিশানা করে তিনি বলেন, 'কেসিআরজি একজন দেবতা। কিন্তু তাঁর চারপাশে কিছু শয়তান আছে। তাদের কারণে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমি কেসিআরের মেয়ে। যদি আমার লেখা চিঠিটি অভ্যন্তরীণভাবে প্রকাশ্যে আসে, তাহলে দলের অন্যদের নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।' (আরও পড়ুন: মুসলিম দেশে বসে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রশংসায় কংগ্রেসের সলমন খুরশিদ!)
আরও পড়ুন-'পাকিস্তান কতগুলি রাফাল...', কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে রাজনৈতিক তরজা
কে কবিতা আরও বলেন, 'আমি কী ভুল করেছি? আমি জানতে চাই কে ওই চিঠি ফাঁস করেছে। আমার দল ফাঁস করেনি।' তাঁর কথায়, তিনি ২৫ বছর ধরে কেসিআরকে চিঠি লিখছেন এবং এই প্রথম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোনও উত্তর দেননি। প্রতিবারই কেসিআর চিঠিগুলি ছিঁড়ে ফেলতেন (পড়ার পর)। এবার তিনি ছিঁড়েননি - হয়তো এটাই তাঁর ভুল ছিল।বিআরএস নেত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, তিনি দলের প্রতি অনুগত এবং পদের পিছনে ছুটছেন না। তিনি বলেন, 'আমি কখনও পদের জন্য কাজ করিনি। কেসিআর আমাকে এমএলসি হিসেবে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। আমি কেবল নিজামবাদ আসনের ইনচার্জ হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম।আমি সোজাসাপ্টা। আমি পিঠে ছুরিকাঘাতের রাজনীতি করি না। আমি টাকার পরোয়া করি না। কেসিআরের মতো, আমি এখানে থাকার জন্য এসেছি, চলে যেতে নয়।'
আরও পড়ুন: 'সুনামি তুলতে পারে ভারতীয় নৌসেনা', মাসুদ-হাফিজদের চেয়ে পাককে হুঁশিয়ারি রাজনাথের
উল্লেখ্য, গত বছর ১৫ মার্চ দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কে কবিতা। তারপর ২৭ অগস্ট জামিন পান তিনি। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কয়েক মাস নীরব ছিলেন তিনি। তারপর ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসেন কবিতা।