যখন জুলাই-অগস্টে গণঅভ্যুত্থান চলেছে, তখন হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালনা হয়েছে। এই ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে হেলিকপ্টার থেকে গুলির অভিযোগ। (প্রতীকী ছবি)
বাংলাদেশে জুলাই-অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা ঘিরে এক বিস্ফোরক দাবি পেশ করলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটার আইনজীবী তাজুল ইসলাম। তাঁর দাবি, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ জুড়ে যখন জুলাই-অগস্টে গণঅভ্যুত্থান চলেছে, তখন হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালনা হয়েছে। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি কাণ্ডে শেখ হাসিনার আমলের ব়্যাব বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। ব়্যাবের প্রাক্তন ডিরেক্টর হারুন রশিদের বিরুদ্ধে জারি হয়ে গিয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। তাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৯৬ জনের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এই ৯৬ জনের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের বহু নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা। এছাড়াও উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি। উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট ২০২৪-এ ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশ রাতারাতি ছেড়ে চলে যান শেখ হাসিনা। বহু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর মসনদ ছেড়ে তিনি দেশের বাইরে চলে যান। হাসিনার হেলিকপ্টার সেদিন অবতরণ করেছিল ভারতের হিন্দোনে বায়ুসেনার বিমানবন্দরে। হাসিনার সঙ্গে ছিলেন বোন রেহানা। সেই ৫ অগস্টের একটি ঘটনার কথা রবিবার উঠে এল। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মিডিয়া হাউসের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশের আশুলিয়ায় ৬ জনের মরদেহ পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটে যায়। সেই ঘটনায় প্রাক্তন এসআই আবদুল মালেক ও কনস্টেবল মুকুল চোকাদারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তোলা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, গুলি করে হত্যার পরে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত, বলে।
আশুলিয়ায় ওই ৬ জনের মৃতদেহ পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন সাংসাদ সদস্য সইফুল ইসলাম ও ৪ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইবুনাল।