দিঘার জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারের রথযাত্রায় রথ টানতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। শুধুমাত্র রথের রশি স্পর্শ করতে পারবেন মাত্র। বৃহস্পতিবার রথযাত্রার আগের দিন একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারের রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানিয়ে দেন, দিঘার রথযাত্রায় জনতাকে থাকতে হবে ব্যারিকেডের ওপারেই।রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবারই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্দির চত্বরে রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। কী ভাবে কোন রাস্তা দিয়ে রথ যাবে। রথগুলির মধ্যে কতটা দূরত্ব থাকবে সব বুঝিয়ে দেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থসহ পদস্থ পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘ঠিক আড়াইটেই রথ স্টার্ট করবে। কিন্তু রাস্তায় লোক থাকবে না। লোক থাকবে ব্যারিকেডে। দু’দিকে ব্যারিকেড করা হয়েছে যাতে কোনও পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। রথ কিছুটা যেতে যেতে কিছুটা থামবে। পথ তো খুব কম। মাত্র পৌনে এক কিলোমিটার। যেতে যেতে একটু থামবে। যেখানে মানুষ থাকবে। যেতে যেতে দর্শন করতে পারবে। দড়িটা আমরা এর সাথে ছুঁইয়ে দিচ্ছি। তারা দড়িটাও স্পর্শ করতে পারবে। দিঘার এই রথযাত্রা মাসির বাড়ি পর্যন্ত যাবে। উলটো রথে আবার মাসির বাড়ি থেকে ফিরে আসবে। উভয় যাত্রাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাপন হয়, আপনাদের সকলকে স্বাগত জানিয়ে আপনাদের সকলের শুভকামনা ও সহযোগিতা আহ্বান করছি।’রথযাত্রা উপলক্ষে দিঘায় গিয়ে পৌঁছেছেন বহু মানুষ। পর পর ৩ দিন ছুটি থাকায় দিঘায় তিনধারণের জায়গা নেই। আর তাদের মধ্যে অনেকেই পৌঁছেছেন রথ টানার আশা নিয়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দেন, দিঘায় রথ টানার সৌভাগ্য হবে না পর্যটকদের।