দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষ হতে চলেছে। শেষমেশ সেই সবুজ অ্যানাকোন্ডা সত্যিই আসছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। এই অ্যানাকোন্ডার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মী থেকে শুরু করে দর্শনার্থীরা। কেন্দ্রীয় জু অথরিটির ছাড়পত্র বুধবার হাতে পেয়েই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আগামী সপ্তাহে বিশেষ টিম রওনা দেবে চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্কে। সেখান থেকেই আসবে এই বিশালাকার সাপ।
আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানার জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত, বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
প্রায় এক বছর আগে চিড়িয়াখানায় এই অ্যানাকোন্ডার জন্য আলাদা ঘর তৈরি করা হয়েছিল। তখনই আশা ছিল, শীঘ্রই নতুন সদস্য আসবে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজন ছিল কেন্দ্রীয় অনুমতির। সেই কাগজপত্র পেতে অনেকটা সময় কেটে যায়। অবশেষে সবুজ সংকেত মিলেছে। তারপরেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলের প্রাণী এই সবুজ অ্যানাকোন্ডা বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। তার দৈর্ঘ্য ও শক্তি এতটাই বেশি যে একে নিয়ে বহু গল্প-ছবিও তৈরি হয়েছে। তবে এবার বাস্তবেই তাকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পাবেন শহরবাসী।
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা অরুণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চারটি সবুজ অ্যানাকোন্ডার শাবক পাঠানো হচ্ছে। ধাপে ধাপে সেগুলি নিয়ে আসা হবে। তাদের থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন, তা আগেই তৈরি করা ছিল। এখন শুধু তাদের স্বাগত জানানোর পালা। এই সবুজ অ্যানাকোন্ডা আসছে মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে। সেখানে ভারতের মধ্যে একমাত্র এই প্রজাতির সাপ রয়েছে। সেখান থেকেই আগে হলুদ অ্যানাকোন্ডাও এনেছিল আলিপুর। এবার এক ধাপ এগিয়ে চাওয়া হয়েছিল সবুজ অ্যানাকোন্ডা। প্রথমে মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক রাজি না হলেও পরে শাঁখামুটি সাপের বিনিময়ে সবুজ সংকেত দেয়। সবুজ অ্যানাকোন্ডা শুধু চিড়িয়াখানার সংগ্রহশালাকেই সমৃদ্ধ করবে না, দর্শনার্থীদের মধ্যেও নতুন কৌতূহল ও আগ্রহ তৈরি করবে বলে মনে করছেন অনেকে। চিড়িয়াখানার কর্মীরা ইতিমধ্যেই প্রাণপণে কাজ শুরু করেছেন নতুন সদস্যদের ঘর সাজাতে।