কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। আর তাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে তার দাপট। শ্লীলতাহানি, মারধরসহ মনোজিতের বিরুদ্ধে থানায় প্রায় এক ডজন অভিযোগ থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে কখনও তেমন কোনও কড়া পদক্ষেপই করেনি। এমনকী পুলিশ পিটিয়েও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যায় মনোজিত। বেশি পুরনো নয়, গত এপ্রিলে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গত এপ্রিলে কসবা থানা এলাকার একটি এটিএমে টাকা তুলতে যান TMCP নেতা মনোজিত মিশ্র। সেখানে তাঁর সঙ্গে ATMএর নিরাপত্তারক্ষীর বিবাদ বাঁধে। অভিযোগ, রক্ষীর ওপর চড়াও হন মনোজিত। হামলার মুখে পড়ে নিরাপত্তা চেয়ে ১০০ ডায়ালে ফোন করেন নিরাপত্তারক্ষী। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে এসে পৌঁছয় কসবা থানার টহলদারি ভ্যান। অভিযোগ, এর পর কসবা থানার এক এএসআইকে মারধর করেন মনোজিত। এই ঘটনার পর মনোজিতকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, এর পর থানার ভিতরে দাপট দেখাতে শুরু করেন মনোজিত। পুলিশকর্মীদের গালিগালাজ করেন তিনি। মনোজিতকে পরের দিন আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। পুলিশ পিটিয়েও সেদিনই আদালতে জামিন পেয়ে যান মনোজিত।
প্রশ্ন উঠছে, কার হাত মাথায় থাকায় পুলিশ পিটিয়ে গ্রেফতার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যেতে পারেন একজন যুবক?
বিরোধীদের দাবি, শুধু তৃণমূল নেতৃত্ব নয়, মনোজিতের বাড়বাড়ন্তের পিছনে পুলিশেরও প্রশ্রয় রয়েছে।