বাংলাদেশের বুকে আরও এক নারকীয় নারী নির্যাতনের ঘটনায় গর্জে উঠল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সদ্য বাংলাদেশের কুমিল্লায় এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির বিরুদ্ধে। ঘটনার দিন ফজরকে স্থানীয়রা ধরতে পেরেই মারধর শুরু করে বলে খবর। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে ফজর পালিয়েও যায় বলে খবরে উঠে আসে। যদিও শেষমেশ ফজরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে উঠে আসছে আরও এক ঘৃণ্য দিক, ঘটনার ভিডিয়ো শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বাংলাদেশ জুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই।
কুমিল্লার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতে মশাল হাতে প্রতিবাদে সরব হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবাদ মিছিল থেকে দাবি ওঠে, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক সাজা হোক। ইতিমধ্যেই কুমিল্লা ধর্ষণ ও তার ভিডিয়ো ছড়ানোর অভিযোগে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের পুলিশ। এদিকে, রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হয়ে শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সদস্যরা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকি। তিনি বলেন,' বিগত আওয়ামী আমলে তনু, খাদিজাসহ অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাদের বিচার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দেখলাম নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন।' তিনি কার্যত ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। ইউনুস সরকারের সমালোচনার সুরে তিনি বলেন,'এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনাসহ অসংখ্য ঘটনা ঘটছে।' সিদ্দিকি বলেন,' এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে নারীদের জন্য অনিরাপদ পরিবেশ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এসব ঘটনায় অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।'
( Bangladesh Update:ইউনুসের উপদেষ্টা আসিফের ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন! এয়ারপোর্টে কী ঘটল? এল সাফাইও)
ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা। তিনি বলেন,' নতুন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আমরা এমন ঘটনা প্রত্যাশা করি না।' একই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভা, তিনি বলেন, 'একটা রাষ্ট্র, সংগঠন, সমাজ কিংবা একটি পরিবার জনগণের পক্ষে কি না, জনবান্ধব কি না—তা নারী বিষয়ে তাদের অবস্থানের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করার পরেও আমরা বারবার নারীবিরোধী টোকেন পেয়েছি।'