কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। মনোজিতের বিরুদ্ধে যে পুলিশে আগেও অভিযোগ হয়েছে তা জানা গিয়েছিল ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই। আর তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আসছে চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও সেই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে কসবা থানায় মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ২ ছাত্রী। তখন মনোজিত ওই কলেজের ছাত্র ছিল। ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ অভিযোগ দায়েরের পর NRS হাসপাতালে অভিযোগকারীদের শারীরিক পরীক্ষা করায় পুলিশ। কিন্তু তার পর কোনও অজ্ঞাত কারণে মনোজিতের বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করেনি কসবা থানা। এখানেই শেষ নয় ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ ফের মনোজিতের বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার ঠিক পরের বছর ২০১২ সালে কসবা ল’ কলেজে ভর্তি হন মনোজিত। ২০১৩ সালে এক কেটারিং কর্মীকে রক্তাক্ত করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের হয় কালীঘাট থানায়। এর জেরে কলেজ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৭ সালে ফের সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে রি অ্যাডমিশন নেয় সে। তার পর তার বিরুদ্ধে ওঠে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভইযোগ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া মনোজিতের কলেজে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কিন্তু তার পরেও কোন যাদুবলে সে কলেজের তৃণমূল ইউনিটের সর্বেসর্বা হয়ে উঠল সেই প্রশ্নই তুলছেন বিরোধীরা।