‘কুলদীপই ট্রাম্প কার্ড’ বলছেন ইংরেজ তারকা! বুমরাহ-কে নিয়েও গিলকে দিলেন পরামর্শ

তিন বছর আগে বার্মিংহ্যামে একমাত্র টেস্ট ছাড়া আর ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের কোনও টেস্ট ম্যাচেই ভারতীয় বোলারদের ইংল্যান্ডের বাজবলের সামনে পড়তে হয়নি। যার ফলে আসন্ন ইংল্যান্ড-ইন্ডিয়া সিরিজ সকলেরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিরাট, রোহিতদের ছাড়া তুলনায় অনভিজ্ঞ এবং তরুণ ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে গিয়ে কতটা ফুল ফোটাতে পারে, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। ভারত- ইংল্যান্ড সিরিজে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে জসপ্রীত বুমরাহর বোলিং সঙ্গে শুভমন গিলের ক্যাপ্টেন্সি। রোহিত, বিরাটের মতো তারকাদের অনুপস্থিতিতে জাদেজা, বুমরাহ-র পরামর্শের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল হতে চলেছেন গিল। পাশাপাশি ভারত কীভাবে জো রুটকে থামাবে, তার ওপরও নির্ভর করবে এই সিরিজের ভাগ্য। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার নিক নাইট বলছেন, ‘এই সিরিজটাই যদি আরও ১ বা ২ বছর আগে হত, তাহলে বুমরাহর বিরুদ্ধে ইংরেজ ব্যাটাররা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলত। কিন্তু এখন হয়ত তাঁরাই বুমরাহর স্পেলটা ধৈর্যের সঙ্গে খেলবে। যেমন তাঁরা অন্য ক্ষেত্রে করে থাকে, আমার মনে হয় না বুমরাহর বিরুদ্ধে তাঁরা একই ক্রিকেট খেলবে। যদি উইকেট ফ্ল্যাট থাকে, যখন ক্লান্ত থাকবেন বুমরাহ, সেই সময় তাঁরা তাঁর বোলিংয়ে টার্গেট করতে পারে বড় শট, নাহলে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা নিশ্চয় তাঁর স্পেল বুঝেই খেলতে চাইবেন। আমি যদি শুভমন গিলের জায়গায় থাকতাম, তাহলে বুমরাহকে দিয়ে যত বেশি সম্ভব বল করাতাম রুটের বিরুদ্ধে। এই দুই ক্রিকেটারের লড়াই কিন্তু এই সিরিজের ভাগ্য তৈরি করে দিতে পারে ’।ইংল্যান্ডে ৯টি টেস্টে বুমরাহ এখনও পর্যন্ত নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। রয়েছে দুটি পাঁচ উইকেটের হলও। বোলিং গড় ২৬.২৭। নিক নাইট মনে করছেন, একা বুমরাহ নন। ভারতের ভাগ্য নির্ভর করবে স্পিনার কুলদীপ যাদবের ওপরেও। যাকে জাদেজার পরিবর্ত হিসেবেও দলে রাখা উচিত। নাইটের কথায়, ‘এখন কিন্তু ইংল্যান্ডে বেশ গরম আর শুষ্ক আবহাওয়া, তাই উইকেট শুক্ন থাকবে। এজবাস্টনে বল ঘুরবে। ওল্ড ট্রাফোর্ডেরও বল ভালো বাউন্স হবে এবং ঘুরবে। তাই ইংল্যান্ড যদি শোয়েব বাশিরকে না খেলায় আমি অবাক হব। ভারত হয়ত জাদেজাকে খেলাতে চাইবে, তবে আমি চাইব যাতে কুলদীপ ম্যাচটা খেলে। কারণ ইংরেজ ব্যাটাররা কুলদীপকে খেলতে সমস্যায় পড়ে। ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা যেহেতু আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে, তাই কুলদীপের স্পেলটা সিরিজ নির্ধারণ করে দিতে পারে। কারণ কুলদীপের কোন বলটা ঘুরছে, আর কোন বলটা ঘুরছে না, সেটা দেখেই ব্যাট করতে হবে ইংলিশদের ’।