দিলজিৎ দোসাঞ্জ গত কয়েকদিন ধরেই সর্দারজি ৩ নিয়ে তুমুল আলোচনায় রয়েছেন। এই ছবি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, দিলজিতের এই ছবিতে রয়েছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। আর এই কারণেই দিলজিৎ এই ছবি নিয়ে প্রচুর নেতিবাচকতার মুখোমুখি হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত অনেক সেলিব্রিটি দিলজিতের বিরুদ্ধে তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তবে এক্ষেত্রে-নাসিরুদ্দিন শাহ গায়ককে সমর্থন করেছেন,আর তাতেই নাসিরুদ্দিনের উপর চটেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত।
সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশোক বলেন, ‘দিলজিৎ মামলায় নাসিরুদ্দিন যা বলেছেন, তাতে আমরা বিস্মিত বা হতবাক নই। ওরা আমাদের জুমলা পার্টি ও গুন্ডা বলেছে। ইন্ডাস্ট্রির প্রবীণরা, শিক্ষিত অভিনেতারা আমাদের গুন্ডা বলছেন, তাতেই বোঝা যায় তারা কতটা হতাশাগ্রস্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ সবার আগে। সর্দার ৩-এর প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া সঠিক। নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন দিলজিৎ ছবির কাস্টিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। ঠিক আছে, তবে নাসির সাহেবকে একটা কথা বলতে চাই, যে দিলজিৎ একজন অভিনেতা, তিনি পাকিস্তানি অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করতেই পারতেন।’
অশোক পণ্ডিতের কথায়, এটা খুবই দুঃখজনক যে, ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ার সিনিয়র কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আমাকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রকৃত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে। গত ৪০ বছর ধরে পাকিস্তান ভারতকে নির্যাতন ও আক্রমণ করে আসছে। ওরা আমাদের এই দেশে মানুষ হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, গণহত্যা করেছে। এটা কেবল পহেলগাঁও নয় এর আগে, পুলওয়ামা, উরি, মুম্বই বিস্ফোরণ, ২৬/১১র মতো অনেক অনেক হামলা হয়েছে। পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী জাতি। আমাদের জন্য, আমাদের দেশ সবার আগে। তাই, পুরো পর্বের প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া, পুরো ছবি 'সর্দার জি ৩'-এর প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া, আমাদের মতে সঠিক। আমি আপনাকে বলতে চাই নাসির সাহেব , আমরা দিলজিতের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা জারি করার আহ্বান জানিয়েছি এবং ইতিমধ্যেই আমরা তা শুরু করেছি।'
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে নাসিরুদ্দিন শাহ লিখেছেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে দিলজিৎ দোসাঞ্জের পাশে দাঁড়াচ্ছি। জুমলা পার্টির নোংরা কুৎসা বিভাগ তাঁকে আক্রমণ করার সুযোগ খুঁজছিল। অবশেষে সেই সুযোগ পেয়েছেন বলে মনে করছেন তাঁরা। ছবির কাস্টিংয়ের দায়িত্বে তিনি ছিলেন না, পরিচালকের দায়িত্বে ছিল। তবে পরিচালক কে তা কেউ জানে না যখন গোটা বিশ্ব দিলজিৎকে চেনে এবং তিনি ওই অভিনেতাদের সঙ্গে কাজে রাজি হয়েছিলেন কারণ তাঁর মন বিষে পূর্ণ নয়। এই গুন্ডারা ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বন্ধ করতে চায়। আমার কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধব সেখানে রয়েছেন এবং কেউ আমাকে তাঁদের সঙ্গে-দেখা করতে এবং তাঁদের জন্য ভালবাসা পাঠাতে বাধা দিতে পারেন না। যাঁরা আমাকে বলতে চান, পাকিস্তানে যাও, তাঁদের প্রতি আমার উত্তর, কৈলাসায় যাও। '
তবে এই পোস্টের পরই প্রচুর লোক তাঁকে ট্রোল করায় নাসিরুদ্দিন শাহ পরে তাঁর পোস্টটি মুছে ফেলেন।