কমেডি টিভি সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম একটি সিরিয়াল হল ভাবি জি ঘার পার হ্যায়। জমজমাট হাসির এই অনুষ্ঠানটির প্রাণকেন্দ্র হল তার দুর্দান্ত গল্প। যার গল্পের হাত ধরে ধারাবাহিকটি এত জনপ্রিয় হয়েছেন, তিনি হলেন অন্যতম লেখক মনোজ সন্তোষী।
শুধু ভাবিজি ঘর পার হ্যায় নয়, একাধিক জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানের গল্প লিখেছেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এখন লড়াই করছেন লিভার সিরোসিসের সঙ্গে। তবে অসুস্থ হলেও নিজের কাজ ছেড়ে দেননি তিনি। আইসিইউতে থেকেও লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'এ তো দুই তারকার মিশ্রণ!' গোবিন্দার ছেলেকে দেখে কাদের কথা মনে পড়ল নেটিজেনদের?
আরও পড়ুন: উঠেছে ১০ জন, জিতবে ২! বদলে গেল সময়, কবে আসবে সারেগামাপা-র ফিনালে এপিসোড? দিনক্ষণ জানাল জি বাংলা
সম্প্রতি অভিনেত্রী কবিতা কৌশিক, যিনি মনোজের সঙ্গে FIR সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করেছেন, তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে লেখকের অসুস্থতা সম্পর্কে সকলকে অবগত করান। একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, কয়েক দশক ধরে যে মানুষটি সবাইকে হাসিয়েছেন, তিনি আজ নিজের জীবনের জন্য লড়াই করছেন।
কবিতা বলেন, মনোযোগ লিভার সিরোসিস রয়েছে। ওর অবস্থা ভীষণ সংকটজনক। একজন প্রতিভাবান লেখক, কবি এবং অসাধারণ একজন মানুষ তিনি। সবার কাছে এইটুকুই আর্জি জানাই, সবাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন যাতে অলৌকিক কিছু ঘটনা ঘটে যায় এবং মনোজ সুস্থ হয়ে ওঠে।
মনোজের অসুস্থতা প্রসঙ্গে কবিতা বলেন, এই মুহূর্তে আইসিইউ থেকে তিনি নিজের কাজ করছেন। এমন প্রতিভা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। ও নিজের সাধ্যমত কাজ করে চলেছে। ওর শুধু প্রয়োজন সকলের শুভকামনা এবং সময়মতো চিকিৎসা।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কবিতা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই শিল্পা শিন্ডে মনোজের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রযোজক বিনাইফার নকরা কোহলি মনোজের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসেন হাসপাতালে। অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও মানসিকভাবে পাশে রয়েছেন মনোজের।
আরও পড়ুন: 'গ্রেফতার করা উচিত...' জীবিত অরুণ মুখোপাধ্যায়কে ‘মৃত’ বানিয়ে ফেলা! ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন ছেলে সুজন
আরও পড়ুন: নাতির জন্য হাসপাতাল..', রকস্টার সিনেমায় শাম্মির অভিনয় নিয়ে কী বললেন ইমতিয়াজ
কবিতা যে ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, কবিতার বাড়িতে মনোজ গান গাইছেন। আলো-আঁধারিতে তোলা এই ছবি পোস্ট করে কবিতা লেখেন, এটা সেই সময়ের কথা যখন আমার বাবাকে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। বাবার ওই অসুস্থতার মধ্যেও আমি বাড়িতে একটি গানের আসরের আয়োজন করি যেখানে মনোজ গান এবং লেখার মাধ্যমে বাবার মন ভালো করে দিয়েছিল। সেদিন আমার বাবা খুব খুশি হয়েছিলেন।