গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল রণবীর কাপুরের 'অ্যানিম্যাল'। এই ছবির হাত ধরে সাফল্য এলেও সন্দীপ রেড্ডির এই ছবি ঘিরে আরও একবার উঠে আসে 'বিষাক্ত পৌরুষ' বিতর্ক। বহু লোকজন এধরনের ছবির তীব্র নিন্দা করেন। যদিও বক্স অফিসে 'অ্যানিম্যাল'-এর সাফল্যের ঘোড়া ছিল অধরা। তাকে থামানো যায় নি। তারপর ফের Animal যখন OTT-তে মুক্তি পেল, তখন আরও একবার সেই পুরনো বিতর্কই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
এদিকে রবিবার ৬৯তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে Animal-এর জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন রণবীর কাপুর। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে 'অ্যানিম্যাল' ঘিরে ওঠা উগ্র পৌরুষ বিতর্কেও মুখ খুলেছেন রণবীর। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
Animal, হিংসাত্মক ও নারীবিদ্বেষকে চিত্রায়নের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। তবে তারপরেও রণবীর বিশ্বাস করেন এই ছবি সমাজে বিষাক্ত পৌরুষত্ব সম্পর্কে একটা গুরুত্বপূর্ণ ও 'স্বাস্থ্যকর' কথোপকথনের জন্ম দিয়েছে। রণবীরের কথায়, ‘এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর বিষাক্ত পৌরুষ নিয়ে নতুন করে কথাবার্তা হয়েছে। যেকোনও ছবির জন্য এর থেকে আর ভালো কী হতে পারে। অন্তত কোনও ছবির তো এধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার রসদ যোগাচ্ছে। যদি কোনও আচরণ সত্যিই নিন্দাজনক হয়, আর সেটা যদি ছবির মাধ্যমে দেখানো না হয়, তা নিয়ে যদি বিতর্ক না হয়, তাহলে তো সেই সিনেমার মূল্যই নেই। যদি কোনও কিছু ভুল হয়, তাহলে সেটা যে ভুল তা নিয়ে কথা না হলে লোকে বুঝবে কী করে!’
রণবীরের কথায়, ‘আমরা যে চরিত্রে অভিনয় করছি, সেগুলি আখেরে চরিত্রই। অভিনেতা হিসেবে আমাদের তাঁদের প্রতি সহানুভূতি থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিনেতা হিসাবে আমাদের এটাতে অভিনয় করাও দরকার। তবে একজন দর্শক হিসেবে আপনারই সিদ্ধান্ত নেবেন কোনটা উচিত, কোনটা উচিত নয়! ভুল মানুষদের নিয়েও আপনি ছবি তৈরি করতে পারেন, এটা করাও প্রয়োজন। কারণ, আপনি যদি তাঁদের নিয়ে ছবি না বানাবেন, তাহলে সমাজ কীভাবে ভুল-ঠিক বুঝতে পারবে? ভুল-ঠিক বুঝলে তবেই সমাজের উন্নতি হবে।’
রণবীরের কথায় সহমত প্রকাশ করে তাঁর সহ-অভিনেতা ববি দেওল বলেন, ‘সিনেমায় গল্প বলা হল সমাজেরই প্রতিফলন। এটা আপনাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, যে সমাজে কী ঘটছে। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।’
এদিকে এর আগে রণবীরের Animal নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন অনেকেই। এমনকি জাভেদ আখতারও বলেন, ‘ছবিতে নায়ক যদি কোনও মহিলাকে জুতো চাটতে বলেন, আর দর্শক তাতে হাততালি দেয়, সেটা আসলে সমাজের পক্ষে খুবই বিপদজনক।’