আরামে খাবার খেতে বসেছিলেন সবেমাত্র। খাওয়া শুরু করেছিলেন নিরীহ স্যালাড দিয়ে। সেই স্যালাডই যে এক সেকেন্ড পর বিভীষিকা হয়ে দাঁড়াবে, তা কে জানত! এক চামচ স্যালাডই তাঁর কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াল । সম্প্রতি রেস্তরাঁয় গিয়ে এক বাটি স্যালাড অর্ডার করেছিলেন অ্যালিসন কোজি। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা স্যালাড খেতে বসেই আঁতকে উঠলেন রীতিমতো। কারণ স্যালাডের মধ্যে থেকে উঁকি মারছে আঙুলের টুকরো। মানুষের আঙুলের টুকরো দেখেই চমকে ওঠেন। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি তদন্ত শুরু হয়েছে। ওয়েসচেসলারের স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে এই ঘটনায়।
(আরও পড়ুন: দুধের সঙ্গে ভুলেও এই ৫ খাবার নয়! পেটের ঝামেলা ভোগাবে)
প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি ওই মহিলা। না বুঝেই মুখে দিয়েছিলেন স্যালাডটি। মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি তিনি। কিছুক্ষণ স্যালাড চিবোনোর পর অনুভব করেন, স্যালাডে মেশানো মানুষের আঙুল চিবিয়ে ফেলেছেন। তবে আঙুলের টুকরোটি আদতে কার? প্রথমে তা বুঝতে পারেননি ওই মহিলা। কিন্তু পরে তদন্ত করতে গিয়ে তা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
(আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৯৯টি পানশালা ভ্রমণ! গিনিস বুকে নাম উঠল এই দুই বন্ধুর)
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয় সঙ্গে সঙ্গেই। তখনই জানা যায়,সেই আঙুলের টুকরোটি আর কারও নয়, বরং রেস্তরাঁর ম্যানেজারের। রেস্তরাঁয় কর্মীর অভাব থাকায় ম্যানেজারই সবজি কাটার দায়িত্বে ছিলেন। এমন সময় স্যালাডের পাতা কাটতে গিয়ে নিজের আঙুল কেটে ফেলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ম্যানেজারের না থাকায় রেস্তরাঁর অন্য এক কর্মী খাবার পরিবেশন করছিলেন। মহিলাটি তখনই স্যালাড অর্ডার করেন। কর্মী ভালো করে না দেখেই সেই স্যালাড পাতা তুলে নেন পদটি রাঁধবার জন্য। ওই দিয়েই তিনি মহিলার জন্য স্যালাড বানিয়ে ফেলেন। আর তাতেই ঘটে যায় এমন বিপত্তি।
এই ঘটনায় মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যে ভয়ানক প্রভাব পড়েছে। রাতের ঘুম উড়েছে মহিলার। শুধু মানসিক স্বাস্থ্যই নয়, এই ঘটনায় মহিলার শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকিও রয়েছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে। রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও কড়া শাস্তির ঘোষণা করেনি স্বাস্থ্য দফতর।