অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য আর দীর্ঘ অপেক্ষা নয়। বদলে এসে গেল মাত্র '১০ মিনিটেই অ্য়াম্বুল্যান্স' নাগালে পেয়ে যাওয়ার এক অভিনব পরিষেবা। এই নয়া ব্যবস্থাপনার সৌজন্যে রয়েছে অনলাইন পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা ব্লিঙ্কিট! নতুন বছরে এই সুখবর দিয়েছেন সংস্থার সিইও অলবিন্দর ধিন্দসা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেছেন অলবিন্দর। তাতে তিনি জানিয়েছেন, এদিন থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা শুরু করল তাঁর সংস্থা। প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র গুরুগ্রাম শহরে এই পরিষেবা চালু করা হলেও আগামী দু'বছরের মধ্যে তা ভারতের অন্যান্য জায়গাতেও প্রসারিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর এখনও পর্যন্ত একদিনের নিরিখে সর্বোচ্চ অর্ডার পেয়েছে ব্লিঙ্কিট! সেই সাফল্য সঙ্গে নিয়েই এবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও পরিষেবা প্রদান করার বিষয়ে মনোনিবেশ করতে চাইছে এই সংস্থা।
এদিন অলবিন্দর জানান, প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এই তাঁদের পরিষেবা চালু করা হল। যার প্রধান লক্ষ্যই হল, অ্যাম্বুল্যান্স বুক করার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তা মুমূর্ষু রোগীর দোরগোড়ায় বা তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া!
ব্লিঙ্কিটের সিইও আরও জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থার বাকি পরিষেবার মতোই এক্ষেত্রেও অ্য়াপের মাধ্যমে অ্য়াম্বুল্যান্স বুক করা যাবে।
ব্লিঙ্কিটের অ্য়াম্বুল্য়ান্সে কী কী সুবিধা থাকবে?
অলবিন্দর জানিয়েছেন, তাঁদের অ্য়াম্বুল্যান্সে সমস্ত আপতকালীন জীবনদায়ী ব্যবস্থাপনা রাখা হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল - অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সাপোর্ট সিস্টেম, এইডি (অটোমেটেড এক্সটারনাল ডেফিব্রিলেটর), স্ট্রেচার, মনিটর, সাকশন মেশিন এবং সমস্ত আপতকালীন ওষুধ ও ইনজেকশন।
প্রত্য়েকটি অ্য়াম্বুল্য়ান্সে একজন করে প্যারামেডিক কর্মী থাকবেন। তাঁর একজন সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন। এবং থাকবেন একজন প্রশিক্ষিত চালক। যিনি যতটা দ্রুত গতিতে সম্ভব রোগীকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন।
অলবিন্দর জানিয়েছেন, এই পরিষেবা থেকে মোটা মুনাফা অর্জন করা তাঁদের লক্ষ্য নয়। তাই খুব সাধারণ মূল্যে এই পরিষেবা প্রদান করা হবে। যাতে সুদূর ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হতে পারেন।
অলবিন্দর আরও জানিয়েছেন, আগামী দিনে তাঁরা এই পরিষেবার বিস্তার ঘটাতে চাইলেও তাতে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চান না। কারণ, এই পরিষেবা অনেক বেশি সংবেদনশীল এবং ব্লিঙ্কিটের কাছেও এই পরিষেবা নতুন। তাদের এই পরিষেবা দেওয়ার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তাই ধীরে চলো নীতি নিয়েই এগোতে চাইছে ব্লিঙ্কিট কর্তৃপক্ষ।
সব শেষে অলবিন্দর তাঁর এক্স পোস্টে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের সবসময়েই অ্য়াম্বুল্যান্স যাওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ, শুধুমাত্র সেটুকু করেই হয়তো কোনও একটি অমূল্য প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।