আজ মোদী ৩.০ সরকারের দ্বিতীয় বাজেট। এর আগে গতকালই প্রকাশ করা হয়েছিল অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট। এই আবহে দেশের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন। সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন, 'দেশে আস্থার ঘাটতি দূর করা অপরিহার্য'। তাঁর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই মোদী সরকারকে আক্রমণ শানালেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। এদিকে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে তাঁর 'মনের কথা' বলতে দেওয়ার জন্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে 'ধন্যবাদ' জানান চিদাম্বরম। উল্লেখ্য, বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং বাজেট বক্তৃতা লেখার দায়িত্ব অনন্তর উপরেই থাকে। তাঁর তিন বছরের মেয়াদ এই আর্থিক বছরেই শেষ হবে। (আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে সোনিয়ার 'বেচারি' আখ্যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন PM, মোদী বললেন…)
আরও পড়ুন: পুরনো সস্তার প্ল্যান ফের চালু করল জিও, ২০০ টাকার বেশ খানিকটা কমে মিলবে ইন্টারনেট
এদিকে অনন্তের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দেওয়া সর্বশেষ পরামর্শটি সবচেয়ে সময়োপযোগী এবং শক্তিশালী। তিনি বলেন, 'দেশে আস্থার ঘাটতি দূর করা অপরিহার্য এবং সরকারি সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে এজেন্ডা নির্ধারণ করতে হবে'। এই সরকার এবং তার অস্ত্রধারী সংস্থাগুলিকে কেউ বিশ্বাস করে না - না ব্যবসায়ী, না শিক্ষাবিদ, না পেশাদার, না কৃষক, না শ্রমিক, না শিক্ষক, না ছাত্র, না মধ্যবিত্ত, না গরিব। তবে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জনাব। এবং মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে তাঁর মনের কথা অকপটে বলতে দেওয়ার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব।' (আরও পড়ুন: Sensex LIVE: বাজেটের দিনে কোনদিকে সেনসেক্স? শেয়ার বাজােরের আপডেট জানুন এখানে)
আরও পড়ুন: Budget LIVE: রেকর্ড অষ্টম বাজেট নির্মলার, আজ বড় কোনও 'উপহার' পাবে মধ্যবিত্ত?
এদিকে গতকাল সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করার পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪-১৫ সালে আমদানি সংক্রান্ত নতুন নতুন বিধিনিষেধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যের মূল্য ছিল মাত্র ১৭০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে। এই আবহে তাঁর পরামর্শ, দেশকে অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধির ওপরে নির্ভরশীল হতে হবে। এদিকে তিনি দাবি করেন, ভারত স্থিতিশীল গতিতে অগ্রগতির পথে হেঁটেই এগোচ্ছে। যদিও তাঁর দাবি, গ্লোবালাইজেশনের গতি ধীর হচ্ছে। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ দুটোই দেবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে 'বিকশিত' করতে হলে তিনটি বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে বলে তিনি দাবি করেন - প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে নিয়ন্ত্রণমুক্তকরণ, জাতি গঠনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা এবং ভারতের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানির ধরন পরিবর্তন।