দু'জনেই পলাতক।ভারতে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলা চলছে তাঁদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাতে পাত্তা দেয় কে? বিদেশে দু'জনেই রয়েছেন খোশ মেজাজেই।এমনকী পার্টিতে একসঙ্গে গলা মিলিয়ে গানও গাইলেন তাঁরা। লন্ডনে দুই ঋণখেলাপি ললিত মোদী এবং বিজয় মালিয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গেছে, ভিডিওটি ললিত মোদীর আয়োজিত এক জমকালো পার্টির।ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ললিত নিজেই।ভিডিওতে দেখা গেছে, ললিত মোদী গান গাইছেন। সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসে সেই গানে গলা মেলালেন বিজয় মালিয়াও। ক্যারিওকে-র মাইক্রোফোন ধরে গাইতে দেখা গেছে তাঁদের। রাতভর সেই পার্টি চলেছে।ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন লেখেন, ‘প্রত্যেক বছরের মতোই আমার বাড়িতে সামার পার্টির আয়োজন করেছিলাম। অন্তত ৩১০ জন অতিথি এসেছিলেন। যাঁরা অনেক দূর থেকে শুধু এই পার্টির জন্যই এসেছেন, তাঁদের অজস্র ধন্যবাদ। সারা রাত ধরে থেকে নিজের গল্প শোনানোর জন্য ধন্যবাদ ক্রিস গেইলকে।’ এরপরেই রসিকতা করে ললিত বলেন, ‘জানি এই ভিডিওটা বেশ বিতর্কিত। অবশ্য আমি তো বিতর্কটাই সবচেয়ে ভালো করি। আশা করি এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলবে না।’ বিজয় মালিয়াকে এই পোস্টে ট্যাগও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-মাঝ আকাশে সহযাত্রীর ওপর হামলা! ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেফতার, ঠিক কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর, এই বিলাসবহুল পার্টিতে বিভিন্ন দেশের ধনকুবেররা পরিবার যোগ দেন। ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন ক্রিকেটার ক্রিস গেইলও। ইনস্টাগ্রামে মোদী ও মালিয়ার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'ওই লিভিং ইট আপ। থ্যাংকস ফর আ লাভলি ইভনিং।'দু’জনকে ট্যাগও করেন গেইল।পাশাপাশি পার্টির শেষে নিজের সই করা ব্যাটও ললিতকে উপহার দেন ইউনিভার্স বস।আর এই ভিডিও সামনে আসতেই আবারও প্রশ্ন উঠছে, অবাধে বিচরণ করতে থাকা দুই পলাতককে কেন দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে না?
আরও পড়ুন-মাঝ আকাশে সহযাত্রীর ওপর হামলা! ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেফতার, ঠিক কী ঘটেছিল?
আইপিএল-র নেপথ্য নায়ক হিসেবে একসময় বেশ সুনাম ছিল ললিত মোদীর। কিন্তু ২০১০ সালে বিসিসিআই তাঁকে বরখাস্ত করে। তারপর থেকেই তিনি ব্রিটেনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইপিএল-এর নিলাম প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থা আইনে গলদ এবং কোটি কোটি টাকার মানি লন্ডারিং-এর অভিযোগ রয়েছে।তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি-সহ একাধিক ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে, বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে ৯০০০ কোটি টাকার ঋণ না মেটানোর অভিযোগ রয়েছে। একাধিক ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁকে হাতে পেতে মরিয়া। অথচ পলাতক হয়েও ল্যাভিস জীবনে বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি।ব্রিটেনে বহাল তবিয়তে ঘুরছেন তিনি।২০১৭ সালে ভারতের প্রত্যার্পণের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। সম্প্রতি ইউটিউবার রাজ সামানিকে তিনি একটি ইন্টারভিউ দেন। সেখানে দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি উঠেছে, সেগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি কোনও অপরাধ করেননি।