এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ২৭০ জনের। এবার সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল মোট হতাহতের সংখ্যা। ২৭৫ জনের মধ্যে ২৪১ জন ছিলেন প্লেনের যাত্রী। বাকি ৩৪ জন নিহত হয়েছেন মঙ্গলবার গুজরাটের স্বাস্থ্য মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে এই তথ্য।
কতজন শিশু মৃত?
গত ১২ জুন দুপুর দেড়টা নাগাদ আমদাবাদ থেকে উড়ানের কয়েক মিনিট বাদেই একটি মেডিকেল কলেজের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। এখনও পর্যন্ত ভেঙে পড়ার আসল কারণ জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, প্রায় আড়াইশো যাত্রী প্লেনে থাকলেও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এতদিন হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এবার সেই তথ্যই দিল গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মৃতদের মধ্যে ১২০ জন পুরুষ, ১২৪ জন মহিলা ও ১৬ জন শিশু ছিল।
আরও পড়ুন - ১৯ রুটে সাময়িকভাবে ফ্লাইট কাটছাঁট করছে এয়ার ইন্ডিয়া, বাগডোগরাও আছে!
ডিএনএ ম্যাচিংয়ে মিলল তথ্য
বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতর থেকে ডিএনএ ম্যাচিং শুরু হয়েছিল। এই প্রক্রিয়াতে একের পর এক দেহ শনাক্তকণ করা শুরু হয়। ২৬০ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে এই পদ্ধতিতে। বাকি ছজনকে শনাক্ত করা হয়েছে ফেসিয়াল রেকগনিশন অর্থাৎ মুখ দেখার মাধ্যমে। অবশেষে দুর্ঘটনার ১২ দিনের মাথায় জানা গেল মোট হতাহতের সংখ্যা।
মেডিকেল পড়ুয়াদের সংখ্যা
প্রসঙ্গত, বিমানটি ওড়ার পরেই মে ডে কল দেয়। অর্থাৎ বড়সড় বিপদের সংকেত পাঠিয়েছিল এটিসিকে। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থাতেও ছিল না বিমানটি। ফলে কয়েক মিনিটেই ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ে একটি মেডিকেল কলেজের উপর। কলেজের বহু পড়ুয়া আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যাওয়ায় জটিল হয় পরিস্থিতি। মেডিকেল কলেজ এবং ওঈ এলাকায় মানুষদের মধ্যে ৩৪ জন নিহত বলে জানিয়েছে গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন - ফের খবরে এয়ার ইন্ডিয়া! মাঝ আকাশে বিমানের ভিতর কাঁপল দরজা! অভিযোগ ক্ষুব্ধ যাত্রীদের
ব্ল্যাক বক্স কোথায়?
বিমান দুর্ঘটনার আসল কারণ জানতে শুরু হয়েছে ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ। গুজব ছড়িয়েছিল, ব্ল্যাক বক্স নাকি বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই দিন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলেন, ব্ল্যাক বক্স দেশেই রয়েছে। বিদেশে পাঠানো হয়নি। এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এআইআইবি) ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।