গুরুপরব উপলক্ষে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে অবস্থিত হিকসভিল গুরুদ্বারে গিয়েছিলেন তরণজিৎ। সেখানেই কয়েকজন খলিস্তান সমর্থক তাঁকে ঘিরে ধরে হরদীপ সিং নিজ্জর এবং গুরপতবন্ত পন্নুনকে নিয়ে কথা বলতে থাকে। বিজেপির তরফ থেকে সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে এবং এর নিন্দা জানানো হয়েছে।
ভারতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু
কানাডায় খলিস্তানপন্থীরা ক্রমাগতই ভারতীয় হাইকমিশনারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি ব্রিটেনে একটি গুরুদ্বারে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার। আর এবার আমেরিকায় খলিস্তানিদের হেনস্থার শিকার সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু। গুরুপরব উপলক্ষে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে অবস্থিত হিকসভিল গুরুদ্বারে গিয়েছিলেন তরণজিৎ। সেখানেই কয়েকজন খলিস্তান সমর্থক তাঁকে ঘিরে ধরে হরদীপ সিং নিজ্জর এবং গুরপতবন্ত পন্নুনকে নিয়ে কথা বলতে থাকে। বিজেপির তরফ থেকে সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে এবং এর নিন্দা জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'আবেগে…', কানাডার কূটনীতিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ নিয়ে অকপট ভারতীয় হাইকমিশনার)
এদিকে বিজেপির মুখপাত্র আরপি সিং অভিযোগ করেন, ভাইরাল ভিডিয়োতে তরণজিৎকে হেনস্থা করতে দেখা গিয়েছে হিম্মত সিং নামক এক ব্যক্তিকে। সেই ব্যক্তি অভিযোগ করে, কানাডা নিবাসী হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তরণজিৎ। উল্লেখ্য, বিগক কয়েক মাস ধরেই খলিস্তান ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সভা, সমাবেশ হয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা ও কানাডার মতো দেশে। সেখানে ভারতীয় কূটনীতিকদের বারবার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। এরই মাঝে আবার সম্প্রতি আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়, শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান গুরপতবন্ত পন্নুনকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল সম্প্রতি। তা নাকি এফবিআই বানচাল করে দিয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাতে নাকি ভারত যোগ ছিল।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, শিখস ফর জাস্টিস প্রধান গুরপতবন্ত সিং পন্নুনকে আমেরিকায় হত্যা করার ছক কষা হয়েছিল। তা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের তরফ থেকে নাকি জানানো হয়, সেই হামলার ছকে দিল্লির যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহে ভারতের সংশ্লিষ্ট দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানান ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত জুন মাসে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখনই নাকি মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে গুরপতবন্তের ওপর হামলার ছকের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত করা হয়েছিল। তবে রিপোর্টে এটা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি যে এফবিআই-এর হস্তক্ষেপে হামলাকারী নিজের পরিকল্পনা ত্যাগ করেছিল, নাকি গুরপতবন্তের ওপর হামলা হয়েছিল এবং সেই সময় তা ভেস্তে দেওয়া হয়েছিল।